আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ:
০১
জানুয়ারি
২০২৩ ,
রবিবার
১২ : ০১ পিএম প্রদর্শিত হয়েছে ৮১৯২ বার
|
মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নতুন বছরের প্রথম দিন রোববার (০১ জানুয়ারি) পূর্বাচলে স্থায়ী এক্সিবিশন সেন্টারে দ্বিতীয়বারের মতো এ মেলা শুরু হলো। মেলা উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা দুর্নীতি করতে আসিনি; দেশের মানুষের ভাগ্য গড়তে এসেছি। বাবা-মা পরিবার হারিয়ে এদেশে দুর্নীতি করতে ফিরে আসিনি। সব হারিয়ে দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে এসেছি। ২১ বছর পর ক্ষমতায় আসার পর আমাদের সরকারের একটি নীতিমালা ছিল ব্যবসাবান্ধব নীতি গ্রহণ করা সেটাই করেছি।’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রথমবার যখন এখানে বাণিজ্য মেলা হয় করোনার কারণে আসতে পারিনি। ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেছিলাম। তবে ডিজাইন থেকে শুরু করে সবকিছুতেই আমি ছিলাম। এজন্য এখানে আসার আগ্রহ বেশি। তিনি বলেন, করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অনেক দেশের অর্থনীতি হিমশিম খাচ্ছে, তবুও বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে। এর আগে, শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) পূর্বাচল নতুন শহরের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার বাণিজ্যমেলার উদ্বোধন করবেন। তিনি বলেন, মেলায় যাতায়াতে যাতে কোনো ধরনের নিরাপত্তার ব্যাঘাত না ঘটে, সেজন্য পুলিশ প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। এ ছাড়া যাতায়াতের সুবিধার জন্য গত বছরের মতো শাটল সার্ভিসের ব্যবস্থা থাকবে। কুড়িল বিশ্ব রোড থেকে এক্সিবিশন সেন্টার পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে ৭০টি বিআরটিসি বাস চলাচল করবে। প্রয়োজনে এ সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। বাসের ভাড়া ৩৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মেলা চলাকালীন বাসগুলো চলাচল করবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে। তবে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন মেলা রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। মেলায় প্রবেশ মূল্যের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য মেলার প্রবেশ মূল্য ৪০ টাকা, আর অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। তবে মেলার টিকিট অনলাইনে কিনলে ৫০ শতাংশ ছাড়ের সুযোগ থাকবে। মেলায় প্রায় এক হাজার গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। এবারের বাণিজ্য মেলায় ১০টি দেশের ১৭টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা আমাদের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। লাভের উদ্দেশ্যে এ মেলার আয়োজন করা হয় না। গত বছরও এ মেলায় ২০০ কোটি টাকা মূল্যের পণ্য রফতানির স্পট অর্ডার পাওয়া গেছে। স্থায়ী এক্সিবিশন সেন্টার একটু দূরে হলেও মেলায় অংশ নেয়া ক্রেতা-বিক্রেতাদের ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। এ মেলার মাধ্যমে আমরা আমাদের তৈরি পণ্য দেশি-বিদেশি সবার কাছে তুলে ধরার সুযোগ পাই। ক্রেতারাও দেশি-বিদেশি পণ্যের মধ্যে তুলনা করার সুযোগ পান, এতে করে পণ্যের মানও উন্নত হয়। বাংলাদেশের তৈরি পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে তুলে ধরাই এ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার মূল উদ্দেশ্য।’ প্রসঙ্গত, ১৯৯৫ সাল থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন ও উৎপাদনে সহায়তার জন্য এ মেলার আয়োজন করা হয়। আগে বাণিজ্যমেলা শেরে বাংলা নগরের চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের পাশের খোলা জায়গায় অনুষ্ঠিত হয়ে এলেও ২০২২ থেকে এর জায়গা নির্ধারিত হয়েছে পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি)। |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ অঞ্জন কর
প্রকাশকঃ জেরীফ আফতাব কর্তৃক
জেড টাওয়ার (৬ষ্ট তলা), বাড়ী- ০৪, রোড-১৩২, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২ থেকে প্রকাশিত
ইমেইলঃ tribunenewsbd@gmail.com
© 2022 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || tribunenewsbd.com