স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি সহনীয় পর্যায়ে আনতে হবে: হাইকোর্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ:
২৪
জানুয়ারি
২০২৩ ,
মঙ্গলবার
০৪ : ০১ পিএম প্রদর্শিত হয়েছে ৭৯৬৮ বার
|
‘স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি মাত্রা অনেক বেশি। তাই এই খাতে দ্রুত দুর্নীতি সহনীয় পর্যায়ে আনতে না পারলে দেশ টিকবে না।’ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজিকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এসব কথা বলেন। কারাগারে ডাক্তার নিয়োগ সংক্রান্ত নির্দেশ অমান্য করায় আদালতের তলবে হাজির হওয়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের উদ্দেশ্যে হাইকোর্ট আরো বলেন, ‘কারাগারে থাকা মানুষদেরও স্বাস্থ্য সেবার অধিকার আছে। সেবাটা দেওয়া দরকার। আমাদের তো কাউকে ডাকতে মন চায় না। এটা শোভনীয় নয়। আমরা অনেক সময় দিয়ে থাকি। বার বার সময় দেওয়ার পরও যখনও আদালতের আদেশ মানা হয় না, তখন আমরা বাধ্য হয়ে ডাকি।’ এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি মাইলর্ড কনসিডার করেন। স্বাস্থ্য খাতের বিষয়টি কোভিডের কারণে হয়েছে।’ এ সময় হাইকোর্ট বলেন, ‘সরকার তো কোনো খাতেই টাকা কম দেয় না।’ ফরিদপুর মেডিকেলে দুর্নীতির বিষয়টি উল্লেখ করে আদালত বলেন, ‘একটি জিনিসের দাম বাজারের তুলনায় ৪০০ গুণ বেশি হতে পারে না। বিদেশিরা দেশ চালায় না। আমরা নিজেরা দেশ চালাচ্ছি।’ এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে বলেন, ‘সব জায়গায় ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এরপর হাইকোর্ট স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে ডায়াসের সামনে ডেকে বলেন, ‘এ দেশের মানুষ কিন্তু গরিব। মানুষ বিপদে পড়লেই ডাক্তারের কাছে যায়। এটা একটা মহান পেশা। ডাক্তাররাও সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সেবা দেন। তাদের ব্যক্তি জীবন আছে বলে মনে হয় না। তারপরও মানুষ সেবা পায় না। আপনি বিষয়টি দেখবেন। গরিব দেশ হিসেবে যথেষ্ট টাকা স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ দেয় সরকার। অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস থেকে কোনো কিছু গেলে আপনারা গুরুত্ব দেবেন।’ এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আদালতে বলেন, ‘অনিইচ্ছাকৃতভাবে আদালতের আদেশ বাস্তবায়নে বিলম্ব হয়েছে। এরকম ভুল আর হবে না। আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’ পরে আদালত এই মামলার পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ২ মে দিন ধার্য করেন। এর আগে সকালে দেশের কারাগারগুলোতে শূন্যপদে ৪৮ জন চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশনা নির্ধারিত সময়ে বাস্তবায়ন না করায় হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। পরে আদালত তাকে ব্যাক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গত ১৭ জানুয়ারি দেশের কারাগারগুলোতে শূন্যপদে ৪৮ জন চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করায় তার ব্যাখ্যা দিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে তলব করেন হাইকোর্ট। ২৪ জানুয়ারি তাকে সশরীরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। এর আগে গত ১৩ ডিসেম্বর দেশের কারাগারগুলোতে শূন্যপদে ৪৮ জন চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। স্বাস্থ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও কারা কর্তৃপক্ষকে এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. জে আর খান রবিন। পরে আইনজীবী জে আর খান রবিন বলেন, ‘গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর হাইকোর্ট কারাগারগুলোতে শূন্যপদে ৪৮ জন চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন। ৭ জানুয়ারির মধ্যে নিয়োগ দিতে বলেছিলেন। কিন্তু যথা সময়ে শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এ কারণে আদালত তলব করেছেন।’ এর আগে গত ১৩ ডিসেম্বর দেশের কারাগারগুলোতে শূন্যপদে ৪৮ জন চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। স্বাস্থ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও কারা কর্তৃপক্ষকে এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ অঞ্জন কর
প্রকাশকঃ জেরীফ আফতাব কর্তৃক
জেড টাওয়ার (৬ষ্ট তলা), বাড়ী- ০৪, রোড-১৩২, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২ থেকে প্রকাশিত
ইমেইলঃ tribunenewsbd@gmail.com
© 2022 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || tribunenewsbd.com