শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
● পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল উদ্বোধন      ● সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর বঙ্গবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে      ● বঙ্গবাজারের আগুন নেভাতে হাতিরঝিল থেকে পানি নিচ্ছে হেলিকপ্টার      ● বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের খোঁজখবর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী      ● বঙ্গবাজারে ফায়ার সার্ভিসের ৫০ ইউনিট, ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন      ● ৫ ঘণ্টায়ও নেভেনি বঙ্গবাজারের আগুন      ● ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরে হামলা, টিয়ারশেল নিক্ষেপ      ● আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের সাথে নৌ-সেনা ও বিমানবাহিনী      ● বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ড: আশপাশের ৪ ভবনে ছড়িয়েছে আগুন      ● জ্বলছে বঙ্গবাজার : প্রতিনিয়ত বাড়ছে আগুনের তীব্রতা     
দুর্নীতির বিরুদ্ধে সকলকে সচেতন থাকার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , শনিবার ০৭ : ০২ পিএম   প্রদর্শিত হয়েছে ৭৯৮১ বার

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের আচার্য আজ বিকেলে রাজধানীর অদূরে সাভারের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ‘ষষ্ঠ সমাবর্তন-২০২৩’ অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান।


রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘দুর্নীতি আমাদের উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে অন্যতম বড় অন্তরায়। তাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সকলকে সচেতন থাকতে হবে।’ জাবির ষষ্ঠ সমাবর্তনে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন। ইদানিংকালে পত্রপত্রিকা খুললেই দেখা যায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ বাণিজ্য ও টেন্ডারবাজির নেতিবাচক খবর... নিজেদেরকে দুর্নীতি ও  স্বজনপ্রীতির ঊর্ধ্বে রাখবেন’।


আবদুল হামিদ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দলীয় লেজুড়বৃত্তির ঊর্ধ্বে উঠে রাজনীতি করারও আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘পড়াশোনার জায়গাটা ঠিক রেখে তারপরে রাজনীতি, সমাজসেবা, সাংস্কৃতিক বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমে নিজেদের যুক্ত করতে পারেন। কোনোভাবেই লেখাপড়ার ক্ষেত্রে আপস করা যাবে না।’


বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে প্রথম ১০০০ এর মধ্যেও বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অস্তিত্ব খুঁজে না পাওয়ায় রাষ্ট্রপ্রধান হতাশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘উপাচার্য, শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীগণ মুক্তবুদ্ধির চর্চা করেন। তাঁরা রাজনীতির অনুশীলন এবং সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণও করেন। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতি প্রত্যাশিত’।


রাষ্ট্রপতি বলেন, শুধু সনদসর্বস্ব শিক্ষা দিয়ে দেশ ও দশের উন্নয়ন সম্ভব না। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সাথে বাস্তব জীবনের যোগসূত্র স্থাপন করতে পারলে তবেই সেই শিক্ষা সফল হয়েছে বলা যায়।


বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, ‘উপাচার্য ও শিক্ষকদের মনে রাখতে হবে শিক্ষাদান ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মূল এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। আর শিক্ষার্থীদের মূল কাজ লেখাপড়া ও জ্ঞান অর্জন।’


কেবলমাত্র প্রতিষ্ঠান ও প্রাতিষ্ঠানিক সুযোগ-সুবিধার সম্প্রসারণ নয়, রাষ্ট্রপতি হামিদ শিক্ষার গুণগত উৎকর্ষ সাধনেও পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।


রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘তরুণ সমাজকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতা অর্জন করতে হবে... এর জন্য প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে নিরন্তর গবেষণা’।


তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘দখলবাজী আর চাঁদাবাজীর কারণে ছাত্ররাজনীতিকে এখন আর মানুষ আগের মতো সম্মানের চোখে না দেখে নেতিবাচকভাবে দেখে।’ 


গ্র্যাজুয়েট ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি বলেন প্রতিটি শিক্ষার্থীকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিকতা, মূল্যবোধ, দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবোধের শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে।


আবদুল হামিদ বলেন, দেশের উন্নয়ন ও ইতিবাচক পরিবর্তনে মেধাবী তরুণদের যথাযথ পরিচর্যার জন্য আমাদের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বমানের করে গড়ে তুলতে হবে।


গ্র্যাজুয়েটবৃন্দকে দেশ ও জাতির কল্যাণে  ভূমিকা রাখার পরামর্শ দিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘একক নয়, পরিবার, সমাজ ও জাতীয় উন্নয়নের দিকেও মনোযোগ দিতে হবে।’


রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, ব্যবসায়ী শিল্পপতিরাও ব্যবসা শুরু করেই নীতি-নৈতিকতাকে বাদ দিয়ে কিভাবে শুধু নিজে বড়লোক হতে পারবে সেই চিন্তাভাবনায় ব্যস্ত থাকেন।


তিনি বলেন, ‘বড় বড় ব্যবসায়ী শিল্পপতিরাই বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে স্বেচ্ছায় ঋণখেলাপী হন’।

তিনি চাকরিজীবীদের উদ্দেশ্য বলেন, চাকরিতে ঢুকেই কিভাবে গাড়ি-বাড়ির মালিক হওয়া যায় সেই চিন্তায় বিভোর থাকেন। নিজের ক্ষুদ্র স্বার্থের জন্য অনেক সময় দেশ ও জাতির বড় স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিতেও পিছপা হন না।


দেশকে জাতির পিতা স্বপ্নের সুখী ও সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ গড়তে এবং একটি উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্য রাষ্ট্রের বিবেকবান নাগরিক হিসেবে স্নাতকরা তাদের মেধাশক্তি ও মানবিকতা দিয়ে কাজ করবেন বলে  বিশ্ববিদ্যালয় আচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


এবারের সমাবর্তনে অংশগ্রহণকারী মোট ১৫,২১৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে তিনটি ক্যাটাগরিতে ১৬ জন শিক্ষার্থীকে স্বর্ণপদক দেন রাষ্ট্রপতি।


তাদের মধ্যে নিয়মিত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্নকারী ১১,৪৪৪ জন, উইকেন্ড প্রোগ্রামের ৩,৪৬১ জন, এমফিল ডিগ্রির ৩৪ জন এবং পিএইচডি সম্পন্নকারী ২৮০ জন।


সমাবর্তনে অন্যান্যদের মধ্যে সংসদ সদস্যবৃন্দ, উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম, প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার, রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ এবং সংশ্লিষ্ট অনুষদের ডীনগণ উপস্থিত ছিলেন।

« পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ »





  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ অঞ্জন কর

প্রকাশকঃ জেরীফ আফতাব কর্তৃক

জেড টাওয়ার (৬ষ্ট তলা), বাড়ী- ০৪, রোড-১৩২, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২ থেকে প্রকাশিত

ইমেইলঃ tribunenewsbd@gmail.com

© 2022 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || tribunenewsbd.com