রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তাহের হত্যা: রিভিউ খারিজ, দুইজনের ফাঁসি বহাল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ:
০২
মার্চ
২০২৩ ,
বৃহস্পতিবার
০১ : ০৩ পিএম প্রদর্শিত হয়েছে ৭৯২১ বার
|
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা দুই আসামিসহ দণ্ডিত তিনজনের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ করেছেন আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আট সদস্যদের আপিল বিভাগ এই রায় দেন। গত বছরের ৫ এপ্রিল এ মামলায় অধ্যাপক তাহের এর সহকর্মী মিয়া মো. মহিউদ্দিন ও বাসার তত্ত্বাবধায়ক মো. জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। পাশাপাশি জাহাঙ্গীরের ভাই শিবিরকর্মী আবদুস সালাম এবং জাহাঙ্গীরের স্ত্রীর ভাই নাজমুল আলমের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশও বহাল রাখা হয়। ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কোয়ার্টারের ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয় নৃশংসভাবে হত্যার শিকার অধ্যাপক তাহেরের মৃতদেহ। ৩ ফেব্রুয়ারি নিহতের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে এই হত্যা মামলায় ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালত এক রায়ে ৪ জনকে ফাঁসি ও ২ জনকে বেকসুর খালাস দেন। খালাস পাওয়া চার্জশিটভুক্ত ২ আসামি হলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী ও আজিমুদ্দিন মুন্সী। এরপর নিয়ম অনুযায়ী আসামিদের মৃতুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি আসামিরাও আপিল করেন। উভয় আবেদনের শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল দুই আসামির ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল এবং অন্য দুই আসামির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন হাইকোর্ট। ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল হওয়া দুই আসামি হলেন ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়া যে দু’জনের ফাঁসির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে তারা হলেন, মো. জাহাঙ্গীর আলমের ভাই নাজমুল আলম ও নাজমুল আলমের সমন্ধি আব্দুস সালাম। পরে হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল দায়ের করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানি শেষে গত ৫ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বধীন আপিল বিভাগ রায় ঘোষণা করেন। ওই রায়ে হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখা হয়। এরপর গত ১৪ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বধীন আপিল বিভাগের সাক্ষরের পর ৬৮ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় পর্যবেক্ষণসহ প্রকাশিত হয়। পরে মৃত্যুদণ্ড বহালের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর এবং যাবজ্জীবন সাজা পুনর্বিবেচনা চেয়ে সালাম পৃথক আবেদন (রিভিউ) করেন। চেম্বার আদালত হয়ে এই রিভিউ আবেদন আপিল বিভাগে ওঠে। শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার রায় দিলেন আপিল বিভাগ। এর আগে রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছিলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন নিহত ড. এস তাহের আহমেদ। তিনি জীবিত থাকলে একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন কোনোদিন ‘অধ্যাপক’ হতে পারবেন না- এমন আশঙ্কা থেকেই তাহেরকে শিক্ষক মহিউদ্দিন খুন করেন। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর দুই আসামি আপিল বিভাগের রায় রিভিউ চেয়ে আবেদন করেন। |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ অঞ্জন কর
প্রকাশকঃ জেরীফ আফতাব কর্তৃক
জেড টাওয়ার (৬ষ্ট তলা), বাড়ী- ০৪, রোড-১৩২, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২ থেকে প্রকাশিত
ইমেইলঃ tribunenewsbd@gmail.com
© 2022 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || tribunenewsbd.com