খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন স্বরাষ্ট্র থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ:
০৯
মার্চ
২০২৩ ,
বৃহস্পতিবার
০৫ : ০৩ পিএম প্রদর্শিত হয়েছে ৭৭০৫ বার
|
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে অন্তর্বর্তীকালীন মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয় এসেছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। তবে আইন মন্ত্রণালয়ে আসলেও এখনও তার কাছে উপস্থাপিত হয়নি বলেও জানান তিনি। বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সচিবালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ছয়টি দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান। আইনমন্ত্রী বলেন, খালেদার মুক্তির বিষয়ে আমি বলতে চাই, আমি জানতে পেরেছি শর্তযুক্ত মুক্তির মেয়াদ আরও বাড়ানোর জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি আবেদন ফাইল করেছে। ফাইলটি আইন মন্ত্রণালয়ে এসেছে। আমার কাছে এখনও আসেনি। আমাদের মতামত দেওয়ার পর এটিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। যে তথ্য (মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ও বিদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত) টেলিভিশনে দেওয়া হচ্ছে, তা সর্বৈব অসত্য। খালেদা জিয়া বিদেশে চিকিৎসা নিতে পারবেন কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমার কাছে এখনও আবেদনটি আসেনি। এলে আমি নিষ্পত্তি করবো। আমি যখন এটি নিষ্পত্তি করবো, আমি আপনাদের (সাংবাদিক) অবশ্যই জানাবো। এখনও আমি জানি না ফাইলের মধ্যে কী আছে। খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন কি না- এ বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, আমি এ ব্যাপারে একটা পরিষ্কার কথা বলতে চাই। আমি যেটা বলেছিলাম, সেটা আইনের বইতে কী আছে আপনারা দেখে নেন। তাহলে আপনারা বুঝতে পারবেন কে ঠিক আর কে ভুল। আমি এটার ব্যাপারে আর কথা বলবো না। ‘প্রথম দিন আমার কাছে যখন প্রশ্ন করা হয়েছিল, আমি বলেছিলাম ডেড ইস্যু। এটা আমার কাছে ডেড ইস্যু’। যতটুকু জানা গেছে, খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে এবার স্থায়ী জামিন চাওয়া হয়েছে- এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, জামিন দেওয়ার এখতিয়ার আদালতের, সরকারের নয়। প্রথমবার যখন তার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তি দেওয়া হয়, তখন দুটি শর্ত দেওয়া হয়। দুটি শর্তের মধ্যে রয়েছে- তিনি ঢাকায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং বিদেশে যেতে পারবেন না। শেষবার যখন মেয়াদ বাড়ানো হয় তখনো এ শর্তগুলো ছিল। এখন যেটা (আবেদন) এসেছে, আপনারা কিছুদিনের মধ্যে সে বিষয়ে জানতে পারবেন। যে শর্ত আছে সেটাই বহাল থাকবে বলে আমি মনে করি। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ ‘দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর’র ধারা-৪০১ (১)-এর ক্ষমতাবলে সরকারের নির্বাহী আদেশে প্রথমবারের মতো শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন মুক্তি পান খালেদা জিয়া। ওইদিনই হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসায় ফেরেন তিনি। একই বছরের সেপ্টেম্বরে তার মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়। এরপর গত প্রায় তিন বছরে দফায় দফায় বাড়ে মুক্তির মেয়াদ। প্রসঙ্গত, খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা, লিভার সিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতা রয়েছে তার। কারাগার থেকে বেরোনোর পর চিকিৎসার জন্য কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। সর্বশেষ ২৭ ফেব্রুয়ারি নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায় ঘোষণার পর ওই দিনই খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেওয়া হয়। এর পর ৩০ অক্টোবর এই মামলায় আপিলে তার আরও পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট। একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন একই আদালত। সরকারের নির্বাহী আদেশে তার এ সাজা স্থগিত করা হয়। |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ অঞ্জন কর
প্রকাশকঃ জেরীফ আফতাব কর্তৃক
জেড টাওয়ার (৬ষ্ট তলা), বাড়ী- ০৪, রোড-১৩২, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২ থেকে প্রকাশিত
ইমেইলঃ tribunenewsbd@gmail.com
© 2022 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || tribunenewsbd.com