শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
● পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল উদ্বোধন      ● সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর বঙ্গবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে      ● বঙ্গবাজারের আগুন নেভাতে হাতিরঝিল থেকে পানি নিচ্ছে হেলিকপ্টার      ● বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের খোঁজখবর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী      ● বঙ্গবাজারে ফায়ার সার্ভিসের ৫০ ইউনিট, ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন      ● ৫ ঘণ্টায়ও নেভেনি বঙ্গবাজারের আগুন      ● ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরে হামলা, টিয়ারশেল নিক্ষেপ      ● আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের সাথে নৌ-সেনা ও বিমানবাহিনী      ● বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ড: আশপাশের ৪ ভবনে ছড়িয়েছে আগুন      ● জ্বলছে বঙ্গবাজার : প্রতিনিয়ত বাড়ছে আগুনের তীব্রতা     
আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে আইনমন্ত্রী
‘আদালতে বারবার সময় চেয়ে মামলা জট বাড়াবেন না’
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ মে ২০২২ , শনিবার ০৯ : ০৫ পিএম   প্রদর্শিত হয়েছে ৪২৫ বার

আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক

আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘আমাদের মামলার জট অনেক। তাই কোনো মামলায় আদালতে বারবার সময় চেয়ে আবেদন করবেন না। এতে মামলা জট আরো বাড়বে। বলা হয়ে থাকে সিভিল কেস ‘বেগুন ক্ষেতের মতো’। এটা প্রচলিত ছিল। এই অবস্থার পরিবর্তন করতে হবে।  সময়মতো  বিচার না পেলে  বিচার বিভাগের ওপর  ওপর আস্থা হারারিয়ে ফেলবে।’ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আইন ও বিচার বিভাগের আয়োজনে মামলাজট নিরসনে বিজ্ঞ গভর্নমেন্ট প্লিডার (জিপি) ও পাবলিক প্রসিকিউটরদের (পিপি) সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শনিবার মন্ত্রী এসব কথা বলেন।


এসময় আনিসুল হক বলেন, ‘বিশ্বে মামলাজট এক বিরাট সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। বাংলাদেশও এই সমস্যার বাইরে নয়। মামলাজট থেকে বেরিয়ে আসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার অনেক রকম পদক্ষেপ নিয়েছে। আরও অনেক পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে দেওয়ানি কার্যবিধির (সিপিসি) কিছু ধারা সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সিপিসি যখন তৈরি করা হয়েছিল তখন প্রযুক্তির এতো উন্নয়ন হয়নি। প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে এখন বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় খবর পাঠাতে সময় লাগে কয়েক সেকেন্ড। পৃথিবী যখন এতো এগিয়ে গেছে, আমার মনে হয় সিপিসির যেখানে বলা আছে অমুকটার জন্য ৪৫ দিন সময় দিতে হবে, অমুকটার জন্য ৬০ দিন সময় দিতে হবে। এতো সময়ের আর প্রয়োজন নেই।’ 


আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় দেশের আট বিভাগের আটজন জিপি ও আটজন পিপি মামলাজট নিরসনের বিষয়ে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেন। সভায় জিপি-পিপিরা মামলাজট নিরসনে আদালতে সময়মতো সাক্ষীর উপস্থিতি নিশ্চিত করা, বিচারক নিয়োগ, আদালত সংখ্যা বাড়ানো, সময় মতো সমন জারি ও তার প্রাপ্তি নিশ্চিত করা, দেওয়ানি কার্যবিধির কিছু ধারা সংশোধন, মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ ও ডাক্তারের আদালতে সময় মতো উপস্থিতি এবং বার ও বেঞ্চ এর মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখাসহ বিভিন্ন সুপারিশ করেন।


আদালত ও বিচারক সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘শীঘ্রেই এটা বাস্তবায়ন হবে। সাক্ষ্য আইন যুগোপযোগী করা হচ্ছে। এই আইনের ১৫৫(৪) ধারা বাতিল করা হচ্ছে। এনআই অ্যাক্ট, ১৮৮১ সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির (এডিআর) ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। দেওয়ানি আদালতগুলোতে অনেক আপসযোগ্য মামলা দীর্ঘদিন ধরে পড়ে রয়েছে। এই মামলাগুলো এডিআর পদ্ধতিতে নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করা গেলে মামলাজট অনেক কমে আসবে।’ 


ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবিধানে সংযোজন করে দিয়ে গিয়ে গেছেন সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার কথা, যেটা অনেক গণতান্ত্রিক দেশের সংবিধানে নেই। বঙ্গবন্ধু এটা সংবিধানে মৌলিক অধিকার হিসেবে সংযোজন করে দিয়ে গেছেন। তার কন্যার সরকার এমন কোনো আইন করবে না, যেন বাকস্বাধীনতা বা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ব্যাহত হয়। আমরা সেটা করিনি। তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে কিছু সমস্যারও সৃষ্টি হয়েছে। সেসব সমস্যা হলো সাইবার ক্রাইম। আমাদের এই সাইবার ক্রাইম মোকাবিলা করতে হবে। অনেক অপরাধ আছে যেগুলো আর ফিজিক্যালি করা হয় না, কম্পিউটারের মাধ্যমে করা হয়। সেটার বিচার করা হবে কীভাবে? সে জন্য তো একটা আইন করতে হবে। আমরা সে জন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করেছি। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করার পরে কিছু মিসইউজ ও অ্যাবিউজ যে হয়নি তা তো নয়। আগে দেখা যেত, থানায় ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে মামলা হলেই একজন সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হতো। আমি সেখানেও বলেছি- এই মামলা করার সঙ্গে সঙ্গে যেন কাউকে গ্রেফতার করা হয়। আদালত যদি মনে করেন এটা অত্যন্ত গর্হিত অপরাধ তাহলে, সে রকম ব্যবস্থা নেবে। আর যদি মনে করেন, সমন দিলেই যথেষ্ট তাহলে সমন দেবেন। তাই বলে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল করে ফেলতে হবে, আমি এটা সমর্থন করি না।’ আইনজীবীদের উদ্দেশে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা আগে দেখবেন ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে কোনো একটি ঘটনায় আদৌ মামলা হয়েছে কি না। তারপর সেটা বিবেচনা করবেন।’


« পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ »





  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ অঞ্জন কর

প্রকাশকঃ জেরীফ আফতাব কর্তৃক

জেড টাওয়ার (৬ষ্ট তলা), বাড়ী- ০৪, রোড-১৩২, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২ থেকে প্রকাশিত

ইমেইলঃ tribunenewsbd@gmail.com

© 2022 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || tribunenewsbd.com