বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
● পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল উদ্বোধন      ● সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর বঙ্গবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে      ● বঙ্গবাজারের আগুন নেভাতে হাতিরঝিল থেকে পানি নিচ্ছে হেলিকপ্টার      ● বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের খোঁজখবর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী      ● বঙ্গবাজারে ফায়ার সার্ভিসের ৫০ ইউনিট, ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন      ● ৫ ঘণ্টায়ও নেভেনি বঙ্গবাজারের আগুন      ● ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরে হামলা, টিয়ারশেল নিক্ষেপ      ● আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের সাথে নৌ-সেনা ও বিমানবাহিনী      ● বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ড: আশপাশের ৪ ভবনে ছড়িয়েছে আগুন      ● জ্বলছে বঙ্গবাজার : প্রতিনিয়ত বাড়ছে আগুনের তীব্রতা     
কুয়াকাটায় বেড়িবাঁধ নির্মাণে মাটির পরিবর্তে বালু, কাজ বন্ধ করে দিলো এলাকাবাসী
গোফরান পলাশ, কলাপাড়া
প্রকাশ: ০৩ এপ্রিল ২০২৩ , সোমবার ১১ : ০৪ এএম   প্রদর্শিত হয়েছে ৮২৫১ বার

কুয়াকাটায় সমুদ্র রক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণে মাটি দেয়ার পরিবর্তে বালু দেয়ার অভিযোগে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয় স্থানীয় সাধারণ মানুষ। 

 স্থানীয় সাধারণ মানুষ বালু দেয়ার অভিযোগে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সহযোগিতায় স্কেকেবেটার মেশিনের চাবি নিয়ে সাথে সাথে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি অবগত করেন। 


কুয়াকাটা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিল শহীদ দেওয়ান বলেন, রাতের আঁধারে এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাটির পরিবর্তে বালু দিয়ে উপরে মাটির প্রলেপ দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করে। স্থানীয়দের মাধ্যমে এই খবর পেয়ে আমি বিকেলে এখানে আসি। এসে দেখি রাস্তার একপাশ দিয়ে বালু তুলে অন্য পাশে দিচ্ছে তার উপরে মাটি দিয়ে ঢেকে দিচ্ছে যাতে কেউ না দেখে সাথে সাথে আমি কাজ বন্ধ করে মেয়র, পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানাই।


স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খুকুমনি স্টোর রাস্তা নির্মাণের কাজ নিয়ে সব জায়গা বালু দিয়ে কাজ করছে। বারবার নিষেধ করলেও শুনছে না। দিনে কাজ না করে বেশিরভাগ সময় রাতের আঁধারে কাজ করছে তারা।


স্থানীয় বাসিন্দা বশির হোসেন বলেন, আমরা এই উপকূলের মানুষ প্রতিবছর ঝড়-ঝাপটার মধ্যে বসবাস করি। কিন্তু এই যে বালি দিয়ে রাস্তা করে তাতে একবার বৃষ্টি বা সাগরের পানি বৃদ্ধি পেলেই এই রাস্তা শেষ হয়ে যাবে। এই রাস্তা যেন ঠিক মাটি দিয়ে করা হয় সেই দাবি জানাই।


জানা যায়, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে উপকূলীয় এলাকার বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় উপকূলীয় এলাকায় ৩৮ কিলোমিটার বাঁধ নির্মানে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪৩ কোটি টাকা। এই কাজে মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পেয়েছেন অনেকগুলো সহযোগী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তার মধ্যে এই অনিয়মের অভিযোগ ওঠে কলাপাড়ার খুকুমণি স্টোর সহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। 


এনিয়ে খুকুমণি স্টোরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. খোকন বলেন, আমরা বালু দেই না। কিন্তু মাঝে মাঝে মাটির সাথে কিছু বালু যায় তাও গতকালকে কর্তৃপক্ষ কাজ বন্ধ করে দেয়ার সরিয়ে ফেলা হয়েছে। বালু যে দিবো বালু পাবো কোথায়? এখন মাটির চেয়ে বালুর দাম বেশি পড়ে। 


উপকূলীয় এলাকার বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরামর্শক মজিবুর রহমান বলেন, আমাদের রাস্তায় মাটির পরিবর্তে বালু দেয়ার সুযোগ নেই। তবে যে বালুটা দেয়া হয়েছে তাঁর জন্য ওই প্রতিষ্ঠানের কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বালু সরিয়ে না নেয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ থাকবে। আর রাতের বেলা বালু দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে রাস্তায় অনেক বাস থাকে যে কারনে গাড়ি দিনে চলাচল করতে পারে না তাই রাতে কাজ করা হয়। 


পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী খালিদ বিন ওয়ালিদ বলেন, মাটির সাথে সামান্য বালু থাকলেও পুরোপুরি বালু দেয়ার কোনো সুযোগ নেই, খবর পাওয়ার সাথে সাথে কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়ছে। এবং এ ব্যাপারে উর্ধতন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। মাটি ছাড়া বালু দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।

« পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ »





  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ অঞ্জন কর

প্রকাশকঃ জেরীফ আফতাব কর্তৃক

জেড টাওয়ার (৬ষ্ট তলা), বাড়ী- ০৪, রোড-১৩২, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২ থেকে প্রকাশিত

ইমেইলঃ tribunenewsbd@gmail.com

© 2022 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || tribunenewsbd.com