ছাত্রলীগের ৩২ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, তদন্তের নির্দেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ:
৩০
মে
২০২২ ,
সোমবার
১১ : ০৫ এএম প্রদর্শিত হয়েছে ৪১০ বার
|
ছাত্রদলের নেতা কর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় ছাত্র লীগের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিষয় সম্পাদক আল আমিন রহমানসহ ৩২ নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছেন এক শিক্ষার্থী। মানসুরা আলম নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের একজন শিক্ষার্থী এ মামলা করেছেন। রোববার (২৯ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শান্ত ইসলাম মল্লিক শুনানি শেষে রাজধানীর শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)কে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার আসামিরা হলেন, ছাত্র লীগের সহ সম্পাদক রাশেদ ফেরদৈাস আকাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাজিম উদ্দিন, সহ-সভাপতি তিলোত্তমা শিকদার, ছাত্র লীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি খাদিজা আক্তার উর্মি, ঢাকা কলেজ ছাত্র লীগের সহ-সম্পাদক সামাদ আজাদ জুলফিকার, ছাত্র লীগের সহ-সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শামীম পারভেজ, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ হেল বারী, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. নাজির, উপ আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক শাহীন তালুকদার, উপ-দপ্তর সম্পাদক খান মো. ডশমুল, কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেইন, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় জগন্নাথ হল শাখার ছাত্র লীগ নেতা অভিজ্ঞান দাস অন্ত, একুশে হল শাখার ছাত্র লীগ নেতা এনায়েত এইচ মনন, একই হলের এমদাদুল হাসান সোহাগ, একই হলের রাকিব হোসেন, বিজয় একাত্তর হল শাখার ছাত্র লীগ নেতা মজিবুল বাশার, সলিমুল্লা হল হল শাখার ছাত্র লীগ নেতা নাজিমুদ্দিন সাইমুন, ছাত্র লীগ চুয়েট শাখার ছাত্র লীগ নেতা সৈয়দ ইমাম বাকের, ছাত্রলীগ কর্মী মাহমুদ চৌধুরী, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় শাহিদুল্লাহ হল শাখার ছাত্র লীগ নেতা শরিফ আহমেদ, এফ রহমান হল শাখার কর্মী আব্দুর রাহিম, শহিদুল্লাহ হলের মুনিম শাহরিয়ার, সূর্যসেন হলের নাহিদ সাদী, জগন্নাথ হলের ঐশিক শুভ ও সৌরভ টক্রবর্তী, এসএম হলের সায়েম, এফরহমান হলের রিয়াজ, মুজিব হলের মাহবুবুর রহমান, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় শাখার সাবেক নেতা সাজ্জাদ, মিজানুর রহমান পিকুল এবং আব্দুল্লাহ আল ফারিয়াল। মামলার অভিযোগে থেকে জানা যায়, বাদিনী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের একজন মেধাবী ছাত্রী। গত ২৬ মে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কর্তৃক পূর্ব ঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচি উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতা- কর্মীরা দোয়েল চত্তর থেকে মিছিল নিয়ে বের হলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ, বিভিন্ন কলেজ শাখা ছাত্রলীগ এবং বিভিন্ন ইউনিটের সন্ত্রাসীরা ছাত্রদলের মিছিলে অতর্কিত হামলা শুরু করে। এক পর্যায়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশে পাশে আশ্রয় নিলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করিয়া ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উপর তাদের হাতে থাকা লোহার রোড, রাম দা, চাপাতি, বাশের লাঠি দ্বারা আঘাত করে এলোপাতারি মারতে থাকেন এবং এলোপাতারি ইট- পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। উক্ত হামলার নেতৃত্ব দেন বালাদেশ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ। তাদের হামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী মানসুরা আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জিয়া হলের সভাপতি তারেক হাসান মামুন, বিজয় একাত্তর হলের সহ-সভাপতি তানভীর আজাদী, ঢাকা কলেজের সভাপতি শাহীনুর শাহীন, সাহাব উদ্দিন আহম্মেদ, বাংলা কলেজের কর্মী আব্দুল কাইয়ুম, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের কর্মী শিহাব উদ্দিন শিহাব, মাসুদ এবং কবি নজরুল কলেজের নাহিদ সহ অনেক নেতাকর্মী আহত হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি আল আমিন রহমান এর হাতে থাকা দিয়ে উক্ত মামলার বাদীনি কে হত্যার উদ্দেশ্য মাথায় আঘাত করিলে উক্ত মামলার বাদীনি হাত দিয়ে নিজেকে বাচানোর চেষ্টা করিলে রাশেদ ফেরদৌস আকাশ এর হাতে থাকা বাশের লাঠি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্য আঘাত করিতে থাকে। তখন নাজিমুদ্দিন এবং তিলোত্তমা শিকদার এর হাতে থাকা লোহার রড ও বাশের লাঠি দ্বারা উক্ত মামলার বাদীনি মানসুরা আক্তার কে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতারী শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করিতে থাকে। তখন বাদীনি নিজেকে বাঁচাতে প্রানপন চেষ্টা করিতে থাকে। বাদীর হাত ও শরীরের বিভিন্ন অংশ জখম প্রাপ্ত হয়। একপর্যায়ে উক্ত মামলার বাদীনি মাটিতে লুটাইয়া পড়িলে তাহার গলায় থাকায় স্বর্ণের চেইন ও কানের ধুল ৪ নং আসামী তিলোত্তমা শিকদার ও ৫ নং আসামী খাদিজা আক্তার ঊর্মি ছিনিয়ে নেয়। মামলার আরজীতে আসামি সামাদ আজদা জুলফিকার এর হাতে থাকা বাশের লাঠি দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফ কে হত্যার উদ্দেশ্য মাথায় আঘাত করিতে থাকে। আসামি আমানুল্লাহ আমান এর হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জিয়া হলের সভাপতি তারেক হাসান মামুনকে হত্যার উদ্দেশ্য এলোপাতারী মাথায় এবং শরীরে আঘাত করিতে থাকে। আসামি শামীম পারভেজ এর হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে বিজয় একাত্তর হলের সহ-সভাপতি তানভীর আজাদী কে গুরুতর জখম করার উদ্দেশ্যে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে রক্তাক্ত করে। আসামী আব্দুল্লাহ ছিল বারী এর হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে লোহার রড ও বাশের লাঠি দিয়ে দোয়েল চত্তরের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের কর্মী শিহাব উদ্দিন শিহাবকে হত্যার উদ্দেশ্য বেড়ধক মারধর শুরু করে। এসময় তাহার শরীরের বিভিন্ন অংশ জখম প্রাপ্ত হয়। আসামী নাজির, শাহিন তালুকদার, খান মোহাম্মদ শিমুল দের হাতে থাকা বাশের লাঠি এবং সাদ্দাম হোসেন, অভিজ্ঞান দাস অন্ত, এনায়েত এইচ মনন, ইমদাদুল হাসান সোহাগ দের হাতে থাকা হকিস্টিক দিয়ে ছাত্রদল নেতা মাসুদ কে হত্যার উদ্দেশ্য এবং গুরুতর জখম করার এলোপাতারী শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে। এজাহারে আরও বলা হয়, এছাড়া আসামী রাকিব হোসেন, মজিবুল বাশার, নাজিমুদ্দিন সাইমুন, সৈয়দ ইমাম বাকের দেও হাতে থাকা রাশের লাঠি দিয়ে ঢাকা কলেজের সভাপতি শাহীনুর শাহীন হত্যার উদ্দেশ্য মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ অঞ্জন কর
প্রকাশকঃ জেরীফ আফতাব কর্তৃক
জেড টাওয়ার (৬ষ্ট তলা), বাড়ী- ০৪, রোড-১৩২, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২ থেকে প্রকাশিত
ইমেইলঃ tribunenewsbd@gmail.com
© 2022 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || tribunenewsbd.com