পদ্মা সেতু উদ্বোধন: ৬৪ জেলায় একসঙ্গে হবে রেপ্লিকেশন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ:
৩০
মে
২০২২ ,
সোমবার
০৭ : ০৫ পিএম প্রদর্শিত হয়েছে ৪৯৫ বার
|
দৃশ্যমান বহুমুখী পদ্মা সেতু। ফাইল ছবি আগামী ২৫ জুন সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন। এরইমধ্যে পদ্মা নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি ‘পদ্মা সেতু’ নামকরণ করে গেজেট জারি করেছে সরকার। গতকাল রোববার (২৯ মে) এ সংক্রান্ত সরকারি প্রজ্ঞাপণ জারি করা হয়েছে। এদিকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, পদ্মা নদীর ওপর বহুল কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের বহুমুখী পদ্মা সেতুর উদ্বোধন জাঁকজমকপূর্ণ হবে। সেতু উদ্বোধনের সময় ৬৪ জেলায় একসঙ্গে এর রেপ্লিকেশন করা হবে। সোমবার (৩০ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ইনশাআল্লাহ সুপার গর্জিয়াস হবে। ৬৪ জেলায় একসঙ্গে রেপ্লিকেশন হবে। এখানে অরিজিনাল উদ্বোধন হবে, দেশের অন্য সব জায়গায় হবে রেপ্লিকেশন। জানা গেছে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজনে সেতু বিভাগ বেশ কিছু উপ-কমিটি গঠন করেছে। বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে সেতুটির উদ্বোধন করা হবে। উদ্বোধনের দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনসভায় ভাষণ দেবেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রিসভার সদস্য, আওয়ামী লীগের সিনিয়র সদস্য, কূটনীতিকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। গত ২৪ মে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পদ্মা নদীর নামেই সেতুর নামকরণ করা হবে। এদিকে সোমবার (৩০ মে) সকালে সেনা সদরদপ্তরের মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে ‘আর্মি সিলেকশন বোর্ড- ২০২২’ এর বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী ২৫ জুন যান চলাচলের জন্য পদ্মা সেতু খুলে দেওয়া হবে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ সারাবিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদা বাড়িয়েছে। জনৈক ব্যক্তি পদ্মা সেতু প্রকল্পে মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগ আনায় কোনো বোর্ড মিটিং না করেই বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছিল। যদিও পরে ওই অভিযোগ ভিত্তিহীন প্রমাণ হয়। পদ্মা নদীর বুকে নিজস্ব অর্থায়নে ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতুর নির্মাণকাজ ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে বসে প্রথম স্প্যান। মাঝে ২২টি খুঁটির নিচে নরম মাটি পাওয়া গেলে নকশা সংশোধনের প্রয়োজন হয়। তাতে বাড়তি সময় লাগে প্রায় এক বছর। বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের বিরূপ প্রেক্ষাপটে এবং বন্যার প্রভাবে সেতু নির্মাণের কাজে ধীরগতি আসে। সব বাধা পেরিয়ে ওই বছরের অক্টোবরে বসানো হয় সেতু ৩২তম স্প্যান। এরপর বাকি স্প্যানগুলো বসানোর কাজ শেষ হয় দ্রুত সময়ের মধ্যে। এর ঠিক পাঁচ বছরের মাথায় পূর্ণ আকৃতি পায় স্বপ্নের সেতু, যুক্ত হয় পদ্মার দুই পাড়। অন্যদিকে, পদ্মা নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি ‘পদ্মা সেতু’ নামকরণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। গতকাল রোববার (২৯ মে) সেতু বিভাগের উন্নয়ন অধিশাখার এক প্রজ্ঞাপনে পদ্মা সেতু নামটি চূড়ান্ত করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সেতু বিভাগের অধীন বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘পদ্মা বুহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্প’র আওতায় মুন্সিগঞ্জ জেলার মাওয়া এবং শরীয়তপুর জেলার জাজিরা প্রান্ত সংযোগকারী পদ্মা নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি সরকার ‘পদ্মা সেতু’ নামে নামকরণ করলো। জনস্বার্থে এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। এর আগে গত ২৪ মে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পদ্মা নদীর নামেই সেতুর নামকরণ করা হবে। আগামী ২৫ জুন সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহুল কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন বলেও জানান তিনি। এর আগে গত ১১ মে সেতুর নাম প্রস্তাব প্রসঙ্গে সেতু মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বারবার প্রধানমন্ত্রীকে বলার চেষ্টা করেছি, সেতুর নাম ‘শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু’ করার জোরালো দাবি এসেছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী রাজি হচ্ছেন না। উদ্বোধনের যে সামারি আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠাব সেখানে আবারও নাম ‘শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু’ প্রস্তাব করা হবে। তিনিই নাম ঠিক করবেন, সেটা ওনার এখতিয়ার। ’ |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ অঞ্জন কর
প্রকাশকঃ জেরীফ আফতাব কর্তৃক
জেড টাওয়ার (৬ষ্ট তলা), বাড়ী- ০৪, রোড-১৩২, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২ থেকে প্রকাশিত
ইমেইলঃ tribunenewsbd@gmail.com
© 2022 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || tribunenewsbd.com