ডেসটিনির অর্থ পাচার মামলা: রফিকুল আমিনেরর স্ত্রী কারাগারে
আদালত প্রতিবেদক
প্রকাশ:
১২
জুন
২০২২ ,
রবিবার
০৩ : ০৬ পিএম প্রদর্শিত হয়েছে ৩৮০ বার
|
ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীন গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ এবং বেআইনিভাবে অর্থ পাচারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীনের স্ত্রী ফারাহ দিবাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালতে ফারাজ দিবা স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পন পূর্বক জামিনের আবেদন করেন। এসময় তার পক্ষে জামিনের আবেদন শুনানি করেন আইনজীবী শাহীনুর ইসলাম, মো. মাসুম মিয়া। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেন দুদকের পিপি আব্দুস সালাম মীর। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিনের আবেদন নাকচ করে এ আদেশ প্রদান করেন। এর আগে গত ১২ মে রফিকুল আমীনসহ ৪৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছিলেন আদালত। রায়ে ফারাহ দীবাকে আট বছরের কারাদণ্ড, ৪০ কোটি টাকা জরিমানা অনাদায়ে দুই বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। জানা যায়, অর্থ আত্মসাৎ ও অর্থপাচারের অভিযোগে দুদকের তৎকালীন উপ-পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রাজধানীর কলাবাগান থানায় অর্থপাচার আইনে পৃথক দুটি মামলা করেন। ২০১৪ সালের ৪ মে দুদকের উপ-পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার গ্রাহকদের চার হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে পাচারের অভিযোগে ডেসটিনির ৫১ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০৮ সাল থেকে মাল্টি পারপাস কো-অপারেটিভ প্রোজেক্টের নামে ডেসটিনি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছিল ১ হাজার ৯০১ কোটি টাকা। সেখান থেকে ১ হাজার ৮৬১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয় বলে দুদকের অনুসন্ধানে ধরা পড়ে। ওই অর্থ আত্মসাতের ফলে সাড়ে ৮ লাখ বিনিয়োগকারী ক্ষতির মুখে পড়েন। ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির বিরুদ্ধে করা মামলায় আসামি ৪৬ জন এবং ডেসটিনি ট্রি প্ল্যানটেশন প্রোগ্রামের বিরুদ্ধে করা মামলায় আসামি ১৯ জন। ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমিনসহ ১৪ জনের নাম দুই মামলায় থাকায় মোট আসামি ৫১ জন। এর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে পাঁচজন আসামি মারা যাওয়ায় বর্তমানে আসামির সংখ্যা ৪৬ জন। ২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এ মামলায় ৩০৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ২০২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ অঞ্জন কর
প্রকাশকঃ জেরীফ আফতাব কর্তৃক
জেড টাওয়ার (৬ষ্ট তলা), বাড়ী- ০৪, রোড-১৩২, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২ থেকে প্রকাশিত
ইমেইলঃ tribunenewsbd@gmail.com
© 2022 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || tribunenewsbd.com