শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
● পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল উদ্বোধন      ● সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর বঙ্গবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে      ● বঙ্গবাজারের আগুন নেভাতে হাতিরঝিল থেকে পানি নিচ্ছে হেলিকপ্টার      ● বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের খোঁজখবর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী      ● বঙ্গবাজারে ফায়ার সার্ভিসের ৫০ ইউনিট, ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন      ● ৫ ঘণ্টায়ও নেভেনি বঙ্গবাজারের আগুন      ● ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরে হামলা, টিয়ারশেল নিক্ষেপ      ● আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের সাথে নৌ-সেনা ও বিমানবাহিনী      ● বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ড: আশপাশের ৪ ভবনে ছড়িয়েছে আগুন      ● জ্বলছে বঙ্গবাজার : প্রতিনিয়ত বাড়ছে আগুনের তীব্রতা     
শেরপুরে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে ঈদ বাজার
মইনুল হোসেন প্লাবন, শেরপুর
প্রকাশ: ০২ মে ২০২২ , সোমবার ১১ : ০৫ এএম   প্রদর্শিত হয়েছে ৪২১ বার

মুসলিম উম্মাহর বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে শেরপুরের ঈদ বাজার। ক্রেতাদের ভিড়ে জমজমাট শপিংমলগুলোতে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে বেচাকেনা। দম ফেলার ফুরসত নেই ব্যবসায়ীদের। ঈদের কেনাকাটায় জেলা শহরের সব অভিজাত বিপণীবিতান ও ফুটপাতের দোকানগুলোতেও মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে। ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে শহরের শপিংমলগুলো সাজানো হয়েছে রঙিন আলোকসজ্জা দিয়ে। কোভিড-১৯ এর কারণে গত ২ বছর স্তব্ধ ঈদের কেনাকাটায় যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় এবার রমজানের শুরু থেকেই জমে উঠেছে কেনাকাটা। যে হারে বেচা-বিক্রি হচ্ছে তাতে গত দুই বছরের করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। 


শনিও রবিবার দুপুরে সরেজমিনে শেরপুর শহরের শহীদ বুলবুল সড়ক, রঘুনাথ বাজার, মুন্সিবাজার ও নিউমার্কেট এলাকায় অবস্থিত তৈরি পোশাকের দোকান এবং নয়আনী বাজার এলাকায় অবস্থিত কাপড় ও জুতার দোকানগুলো ঘুরে দেখা গেছে, বিপুলসংখ্যক ক্রেতা ঈদের কেনাকাটা করছেন। শিশু, নারী, তরুণ ও তরুণীরা ঈদ উপলক্ষে আসা পোশাক দেখছেন। বিপণিবিতানগুলোতে নারী ক্রেতাদের উপস্থিতি ছিল বেশি। সামর্থের মধ্যে পছন্দের জামা, কাপড়, শাড়ি, জুতা ও প্রসাধনী সামগ্রী কিনে খুশিমনে বাড়ি ফিরছেন সবাই। এবার ঈদবাজারে নারী ক্রেতাদের বেশি ঝোঁক বাহারি থ্রি-পিসে। থ্রি-পিসগুলোর নামও দেওয়া হয়েছে বাহারি রকমের। গারারা, সারারা, পরমা, পোশাক, কামদানি ফুলকাড়ি, চুণ্ডিসুতি, জয়পুরীসুতি, রাজমহল, কাথান ওড়না, জেসান, টাইমলেস, বেনারস, ভিক্টোরিয়া, গ্যালাক্সী, বুটিকস, কারচুপি, লেহেঙ্গা, পার্টিগাউন, স্যামুসিল্ক, জর্জেট টুপার্ট নামের থ্রি-পিসগুলো সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ঢাকাইয়া জামদানি, ভারতীয় জামদানি, রাজশাহী সিল্ক, রাজগুরু, শান্তিপুরী কাথান ও টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়িও বিক্রি হচ্ছে বেশ। শিশু ক্রেতাদের আগ্রহ দেখা গেছে জিন্সের হাফপ্যান্ট, জামা ও ফতোয়ার প্রতি। পুরুষ ক্রেতারা কিনছেন জিন্সের প্যান্ট, শার্ট, টি-শার্ট ও পাজামা-পাঞ্জাবি। এদিকে প্রয়োজনীয় প্রসাধনী কিনতে শহরের কসমেটিকসের দোকানগুলোতেও ভিড় জমাচ্ছেন নারীরা। জেলা শহরের ব্র্যান্ডের শো-রুম রিচম্যান লুবনান, লোটো, রঙ, মাহবুব ফ্যাশন, মিমোজা এন্টারপ্রাইজ, চমক ফ্যাশন ও অনন্যা এক্সক্লুসিভের আধুনিক ডিজাইনের পোশাকগুলো ঈদফ্যাশনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। 


শহরের গোয়ালপট্টি এলাকায় কেনাকাটা করতে আসা শহরের দমদমা কালিগঞ্জ এলাকার নাছিমা পারভীন পারু  বলেন, তিনি এবার পছন্দমতো একটি থ্রি-পিস কিনেছেন। থ্রি-পিস পড়ে সহজেই চলাফেরা করা যায়। অপরদিকে শহরের নয়আনী বাজারের পরিমল বস্ত্রালয়ে কেনাকাটা করতে আসা মাহবুবা খানম বলেন, এবারের ঈদবাজারে প্রায় সব দোকানেই পছন্দসই পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। ঘুরে ঘুরে দেখে মনমতো পোশাক কেনার চেষ্টা করছি। তবে দোকানগুলোতে এখন প্রচুর ভিড় হচ্ছে। 


শহরের শহীদ বুলবুল সড়কের চমক ফ্যাশনের স্বত্ত্বাধিকারী মো. আকিবর রহমান বলেন, ঈদকে সামনে রেখে ক্রেতাদের চাহিদা বিষয়টি মাথায় রেখে বাহারি ধরনে পোশাক দোকান তোলা হয়েছে। বেচাবিক্রিও বেশ ভালোই হচ্ছে। পরিমল বস্ত্রালয়ের মালিক পিন্টু কুমার সাহা বলেন, এবার ঈদের বেচাকেনা খুব ভালো। বিশেষ করে নারীদের পোশাক হিসেবে থ্রি-পিসই সর্বোচ্চ বিক্রি হচ্ছে। তবে শাড়িও বিক্রি হচ্ছে ভালোই। বর্তমানে দুই হাজার টাকা থেকে ছয় হাজার টাকার মধ্যে থ্রি-পিস, আড়াই হাজার টাকা থেকে ১৫ হাজার টাকার মধ্যে ভালো শাড়ি পাওয়া যাচ্ছে। তবে তিন হাজার টাকা থেকে পাঁচ হাজার টাকা দামের থ্রি-পিস বেশি চলছে বলে তিনি জানান। 


এদিকে, ক্রেতাদের সুবিধার্থে যানজট এড়াতে পুলিশের পক্ষ থেকে শহরের চতুর্দিকে প্রবেশমুখে ইজিবাইক ও রিকশা চলাচল সীমিত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া বলেন, শেরপুবাসী যাতে নির্বিঘ্নে কেনাকাটা করতে পারে সেজন্য সকল ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শহরে যত্রতত্র যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

« পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ »





  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ অঞ্জন কর

প্রকাশকঃ জেরীফ আফতাব কর্তৃক

জেড টাওয়ার (৬ষ্ট তলা), বাড়ী- ০৪, রোড-১৩২, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২ থেকে প্রকাশিত

ইমেইলঃ tribunenewsbd@gmail.com

© 2022 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || tribunenewsbd.com