বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩
● পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল উদ্বোধন      ● সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর বঙ্গবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে      ● বঙ্গবাজারের আগুন নেভাতে হাতিরঝিল থেকে পানি নিচ্ছে হেলিকপ্টার      ● বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের খোঁজখবর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী      ● বঙ্গবাজারে ফায়ার সার্ভিসের ৫০ ইউনিট, ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন      ● ৫ ঘণ্টায়ও নেভেনি বঙ্গবাজারের আগুন      ● ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরে হামলা, টিয়ারশেল নিক্ষেপ      ● আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের সাথে নৌ-সেনা ও বিমানবাহিনী      ● বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ড: আশপাশের ৪ ভবনে ছড়িয়েছে আগুন      ● জ্বলছে বঙ্গবাজার : প্রতিনিয়ত বাড়ছে আগুনের তীব্রতা     
রোমাঞ্চকর অনুভূতির 'কির্সতং' পাহাড়
ভ্রমণ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২২ , রবিবার ০৫ : ০৬ পিএম   প্রদর্শিত হয়েছে ৩৬৩ বার

কির্সতং পাহাড়ের অবস্থান বান্দরবানের চিম্বুক রেঞ্জে। কির্সতং নামটি এসেছে মূলত 'কিরসা' ও 'তং' শব্দ থেকে। 'কিরসা' হচ্ছে এক ধরনের ছোট পাখি। মারমা ভাষায় 'তং' অর্থ পাহাড়। কির্সতং পাহাড়ে ছোট ছোট পাখি উড়ে বেড়ায়। এই ছোট পাখি উড়ে বেড়ানো পাহাড়ের উচ্চতা দুই হাজার ৯৫০ মিটার।


এই পাহাড়টি ঘিরে রয়েছে একটি বন। এই বনে বিভিন্ন প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় পশুপাখি ও প্রাণী বসবাস করে। কির্সতং সামিট থেকে তিন্দুর পরিস্কার ভিউ পাওয়া যায়। সামিটের চারপাশে ঘন গাছপালার কারণে খুব ভালো ওয়াইড ভিউ পাওয়া যায় না।


মায়াবী সেই কির্সতং জঙ্গলের বেশিরভাগ জায়গাতেই সূর্যের আলো পৌঁছায় না। বিশাল গাছের ছাউনি দিয়ে ঘেরা বনটি এখনও বেশ বুনো রয়েছে। বনের ভেতর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে বেশকিছু পাখির ডাক শোনা যায়, যেগুলো এখন বিলুপ্তপ্রায়।


বনের গাছগুলো দেখেই বোঝা যায়, এটি হাজার বছরের পুরোনো। আপনি যখন সেই হাজার বছরের পুরোনো জঙ্গলের মধ্য দিয়ে হেঁটে যাবেন, তখন অন্য রকম এক অনুভূতি হবে মনের মধ্যে। কিছুক্ষণ পরপর থেমে পায়ে, শরীরে লেগে থাকা জোঁক হয়তো হাত দিয়ে টেনে টেনে ছাড়াতে হবে। আর যদি শুরু হয়ে যায় বৃষ্টি, তাহলে পুরো পরিবেশটাই বদলে যাবে। সাধারণ একটা পাহাড়ি জঙ্গল নিমেষেই হয়ে যাবে মায়াময়, অসম্ভব সুন্দর স্বর্গের টুকরো। বৃষ্টির কারণে পাহাড়ের মাটি হয়ে যেতে পারে ভয়ানক পিচ্ছিল। পা ফেলতে হবে সাবধানে। মাঝেমধ্যে এমন সব খাড়া অংশ পড়বে, তা পাড়ি দিতে হলে সতর্ক হতে হবে। একটু এদিক-ওদিকে পা দিলেই সোজা পাহাড়ের নিচে। যদি পথেই এত মায়া রেখে থাকে কির্সতং, তাহলে ওপরে কী মায়া আর সৌন্দর্যটাই না জমিয়ে রেখেছে!


যেভাযে যেতে হয় :


কির্সতং চিম্বুক রেঞ্জের সবচেয়ে উঁচু পাহাড়। তাই ঢাকা থেকে চকরিয়া হয়ে আলীকদম দিয়ে ঢুকলেই সবচেয়ে ভালো হয়। আলীকদম থেকে অটো বা রিকশা নিয়ে পানবাজার যেতে হবে। পানবাজার থেকে বাইক বা জিপে করে যেতে হবে ১৩ কিলোমিটার পথ। ১০ কিলোমিটার পর একটি আর্মি ক্যাম্প রয়েছে, সেখান থেকে পারমিশন নিয়ে যেতে হবে। ১৩ কিলোমিটার থেকে ডানে নেমে মেনিকিউ পাড়া হয়ে মেনিয়াংপাড়া। মেনিয়াংপাড়ার ওপরেই রুংরাং পাহাড় অবস্থিত। রুংরাংয়ের ঠিক নিচেই অবস্থিত পারাও-খেমচংপাড়া। খেমচংপাড়া কির্সতংয়ের সবচেয়ে কাছের বসতি। কির্সতং সামিটের ক্ষেত্রে খেমচংপাড়াকেই বেজ ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এই পাড়া থেকে কির্সতং পৌঁছতে দুই ঘণ্টা ৩০ মিনিট লাগে। হাঁটার গতির ওপর এই সময় কম বা বেশিও হতে পারে। সামিট শেষে খেমচংপাড়া থেকে মংগরপাড়া হয়ে ১৩ কিলোমিটার আসা যায়।


কিছু সমস্যা ও সমাধান :


পাহাড়ি রাস্তায় হাঁটলে শরীর থেকে অনেক পানি বেরিয়ে যায়। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি সঙ্গে রাখতে হবে। সঙ্গে স্যালাইন, গ্লুকোজ থাকলে ভালো। অতিদুর্গম এরিয়া, তাই খাবার সোর্স কম। চাইলেই দোকান থেকে খাবার কিনে খাওয়া যাবে না। পর্যাপ্ত পরিমাণ শুকনো খাবার সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়া ভালো। হাঁটতে হাঁটতে রাত হয়ে গেলে কাছাকাছি কোনো পাড়া নাও পাওয়া যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে তাঁবু নিয়ে যেতে হবে।


ম্যালেরিয়াপ্রবণ এরিয়া, তাই ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক নিয়ে যেতে হবে। অফ রোডে ট্র্যাকিং করতে হবে। সে ক্ষেত্রে লোকাল গাইড (আদিবাসী ছেলে) সঙ্গে নিয়ে যাওয়া যায়। প্রাকৃতিক কাজ সারার পর পানির সোর্স কাছাকাছি নাও থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে টিস্যু নিয়ে যেতে হবে। পাহাড়ি ট্রেইল ধরে হাঁটা বেশ কষ্টসাধ্য। তাই একটি ট্র্যাকিং স্টিক বেশ কাজের জিনিস। রাতে ট্র্যাক বা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার জন্য একটি হেডল্যাম্প আদর্শ।

« পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ »





  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ অঞ্জন কর

প্রকাশকঃ জেরীফ আফতাব কর্তৃক

জেড টাওয়ার (৬ষ্ট তলা), বাড়ী- ০৪, রোড-১৩২, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২ থেকে প্রকাশিত

ইমেইলঃ tribunenewsbd@gmail.com

© 2022 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || tribunenewsbd.com