বৃহস্পতিবার ০৫ অক্টোবর ২০২৩
● পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল উদ্বোধন      ● সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর বঙ্গবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে      ● বঙ্গবাজারের আগুন নেভাতে হাতিরঝিল থেকে পানি নিচ্ছে হেলিকপ্টার      ● বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের খোঁজখবর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী      ● বঙ্গবাজারে ফায়ার সার্ভিসের ৫০ ইউনিট, ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন      ● ৫ ঘণ্টায়ও নেভেনি বঙ্গবাজারের আগুন      ● ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরে হামলা, টিয়ারশেল নিক্ষেপ      ● আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের সাথে নৌ-সেনা ও বিমানবাহিনী      ● বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ড: আশপাশের ৪ ভবনে ছড়িয়েছে আগুন      ● জ্বলছে বঙ্গবাজার : প্রতিনিয়ত বাড়ছে আগুনের তীব্রতা     
প্রকৃতির নয়নাভিরাম ঐশ্বর্য 'গোয়ার জলপ্রপাত'
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২২ , বৃহস্পতিবার ০১ : ০৭ পিএম   প্রদর্শিত হয়েছে ৬৮৯ বার

প্রকৃতি উদার ও বিস্তৃত। মানুষের সঙ্গে তার পরম সম্পর্ক। প্রকৃতিকে জানার এবং নিজেক বোঝার সবচেয়ে সহজ উপায় ভ্রমণ। কিন্তু ভ্রমণ যদি হয় দুনিয়ার সেরা ঝরনাগুলোর একটিতে, তাহলে তো কথাই নেই।


অনেকে ভারতের গোয়া সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণে যান। প্রকৃতির এক নয়নাভিরাম দৃশ্যের নাম "দুধসাগর ঝরনা"। ভারতের সবচেয়ে সুন্দর ঝরনা বলা হয় এটিকে। নাটকীয় দৃশ্যের কথা এলে দুধসাগর ঝরনার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় বিশ্বের যেকোনো জলপ্রপাতের টিকে থাকার সম্ভাবনা কম। সবুজ পর্বতের ওপারে আঙুলের মতো জলপ্রপাত কয়েকটি স্রোতে বিভক্ত। যেগুলো আবার একাধিক স্তরে বিভক্ত হয়ে ধোঁয়ার মতো একে অপরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে শ্যাওলা পাথরের ওপর দিয়ে নিচে প্রবাহিত হয়। এ দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্যে বাড়তি মাত্রা যুক্ত করছে ভগবান মহাবীর উপসনালয় এবং মোল্লেম জাতীয় উদ্যানের ছাউনিগুলো।  


দুধসাগর নামটির অর্থ ‘দুধের সমুদ্র’। এ মহাকাব্যিক জলপ্রপাতটি পশ্চিম ভারতের কর্ণাটকের সীমান্ত গোয়াতে অবস্থিত। দুধসাগর প্রায় ১ হাজার ১৭ ফুট উঁচুতে এবং একশ ফুট প্রশস্ত। ভ্রমণকারীরা প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পায়ে হেঁটে ট্র্যাকিং করে বা জিপে প্রায় ৪৫ মিনিটের ভেজা-পাথুরে পথ অতিক্রম করে ঝরনার গোড়ায় পৌঁছান। দুধসাগর জলপ্রপাতের এক আশ্চর্য দৃশ্য, গোয়ার সোনাউলিম। ৩২০ মিটার, এই জলপ্রপাতটি ভারতের অন্যতম দীর্ঘতম। সুন্দর প্রাকৃতিক পুলে স্নান করতে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ এখানে আসেন।


দুধসাগর জলপ্রপাতে লাইফ জ্যাকেট বাধ্যতামূলক। আপনার সময়টি যতটা সম্ভব সুখকর হবে তা নিশ্চিত করার জন্য নিয়ম এবং সতর্কতা অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ। খাবার এবং  পানি আনতে এবং নিজেকে উপভোগ করতে ভুলবেন না কখনোই। এই অঞ্চলে আপনার ভ্রমণের মধ্যে গোয়ার দুধসাগর জলপ্রপাতকে অন্তর্ভুক্ত করতে চান তবে আপনার সময়কালে যাওয়ার জন্য ভাল বর্ষাকাল। এই সময়কাল প্রায় জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত। বছরের এই সময়টি আপনি পাবেন জলপ্রপাতের সেরা দৃশ্য। কোনও খারাপ স্লিপ এড়াতে, নভেম্বর এবং জানুয়ারির মধ্যে আপনার পক্ষে এই সুন্দর জায়গাটি অন্বেষণ করা নিরাপদ হতে পারে। এটির জন্য এখনও প্রচুর পরিমাণে জল রয়েছে চিত্তাকর্ষক দর্শন, তবে ট্রেইল কম পিচ্ছিল হবে এবং তাই নিরাপদ। তদাতিরিক্ত, আপনি প্রকৃতির প্রকৃত শক্তি অনুভব করবেন যেহেতু প্রচুর পরিমাণে পানি নীচে চলে যায় এবং এমন গর্জন সৃষ্টি করে যা আপনি আপনার হাড়ের মধ্যে অনুভব করবেন।


দুর্গম পথে গন্তব্যের এক কিলোমিটার আগেই জিপ চলাচলের অযোগ্য হতে পারে, তবে দুর্দান্ত জলপ্রপাতটিকে দেখার জন্যে আপনাকে সেটুকু পথ পায়ে হেঁটেই পাড়ি দিতে হবে।  গোটা ভ্রমণের বেশিরভাগ লোকেরা এই সুন্দর জলপ্রপাতগুলি ঘুরে দেখেন। সেখানকার রাস্তাটি চূড়ান্ত গন্তব্যের মতো সুন্দর। এটি ট্র্যাকিং অনুরাগী এবং দু: সাহসিক লোকদের জন্য উপযুক্ত। এই জলের সতেজ এবং উদ্দীপক প্রভাবটি আপনার উপর তার চিহ্ন ফেলে দেবে। এই অবিস্মরণীয় দৃশ্যগুলি আপনাকে গোয়ায় আপনার সময়ের আরও দুর্দান্ত স্মৃতি তৈরি করতে দেয়। সেখানে একটি প্রাকৃতিক শীতল পুল আছে যেখান থেকে ফেরার আগে সিক্ত হতে পারেন।


ব্যাঙ্গালোর থেকে যখন আপনি গোয়া যাবেন, তখন এ ঝরনার দেখা পাবেন। ধীরে ধীরে সেই ট্রেন পশ্চিমঘাট পর্বতের গা বেয়ে উঠবে এক মেঘমালাপুর। মাঝে মাঝে পশ্চিমঘাট পর্বতকে দেখে মনে হয় দার্জিলিংয়ের হারিয়ে যাওয়া ভাই। ঘনসবুজ গাছ যার দিকে তাকালেও নাকে আসে বৃষ্টির গন্ধ, তার মধ্যে খেলা করে মেঘ। মাঝে একবার হঠাৎ করে দেখা দেয় দুধসাগর ঝরনা। বিশাল সেই ঝরনা বর্ষাকালে বিরাট আকার ধারণ করে। অনেকেই বলেন, দুধসাগর ঝরনা না দেখলে জীবনটাই বৃথা।  


« পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ »





  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ অঞ্জন কর

প্রকাশকঃ জেরীফ আফতাব কর্তৃক

জেড টাওয়ার (৬ষ্ট তলা), বাড়ী- ০৪, রোড-১৩২, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২ থেকে প্রকাশিত

ইমেইলঃ tribunenewsbd@gmail.com

© 2022 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || tribunenewsbd.com