বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
● পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল উদ্বোধন      ● সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর বঙ্গবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে      ● বঙ্গবাজারের আগুন নেভাতে হাতিরঝিল থেকে পানি নিচ্ছে হেলিকপ্টার      ● বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের খোঁজখবর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী      ● বঙ্গবাজারে ফায়ার সার্ভিসের ৫০ ইউনিট, ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন      ● ৫ ঘণ্টায়ও নেভেনি বঙ্গবাজারের আগুন      ● ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরে হামলা, টিয়ারশেল নিক্ষেপ      ● আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের সাথে নৌ-সেনা ও বিমানবাহিনী      ● বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ড: আশপাশের ৪ ভবনে ছড়িয়েছে আগুন      ● জ্বলছে বঙ্গবাজার : প্রতিনিয়ত বাড়ছে আগুনের তীব্রতা     
ডিজিটাইলাইজেশনের সকল সুবিধার আওতায় রুয়েট ক্যাম্পাস
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১ আগস্ট ২০২২ , সোমবার ০৩ : ০৮ পিএম   প্রদর্শিত হয়েছে ৬১০ বার

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিদ্যালয় (রুয়েট) ডিজিটালাইজেশনের সকল সুবিধার আওতায় এসেছে। গত চার বছরে বিভিন্ন ধাপে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। আর ডিজিটালাইজেশনের কারণে রুয়েটের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, ভর্তিচ্ছু এবং চাকরিপ্রার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সকলেই কোনো ধরনের ভোগান্তি ছাড়া খুব সহজেই দ্রুততার সাথে তাদের সেবা পাচ্ছেন।


রুয়েট কর্তৃপক্ষ জানায়, রুয়েটের এ ডিজিটাইলেজন সুযোগ-সুবিধা এখন দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছে রোল মডেল হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে।


রুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ইকবাল মতিন। গত বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি ছিল তাঁর শেষ কর্মদিবস। শেষ কর্মদিবসে অধ্যাপক ইকবাল মতিনকে ফোন করে রুয়েটের হিসাব বিভাগ। এরপর একটা সই নিয়ে তাঁকে বুঝিয়ে দেওয়া হয় আনুতোষিকের (গ্রাচ্যুইটি) সমস্ত টাকা। এর দুই মাসের মধ্যে পেনশনেরও সব টাকা বুঝে পেয়েছেন অধ্যাপক ইকবাল মতিন।


শেষ কর্মদিবসেই আনুতোষিকের টাকা পাওয়া অধ্যাপক ইকবাল মতিনের কাছে ছিল একরকম অবিশ্বাস্য। তবে তাঁর মত এখন অন্য শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরারাও ডিজিটাইলেজনের এ সুবিধা পাচ্ছেন। আর এটি অনলাইনে স্যালারি সিস্টেম অটোমেশনের কারণে সম্ভব হয়েছে।


অধ্যাপক ইকবাল মতিন বলেন, ‘অবিশ্বাস্যভাবে শেষ কর্মদিবসেই রুয়েট আমাকে পেমেন্ট করেছে। অত্যন্ত সুন্দরভাবে যাবতীয় পাওনা দিয়েছে। একটা দিনও দেরি হয়নি। সেদিন আমি ১৮ মাসের বেতনও পেয়েছি। একরকম আমাকে জোর করেই ডেকে একটা সই নিয়ে সব বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। সত্যিই এটা ভাবা যায় না। পেনশনও দুমাসের মধ্যে পেয়েছি। এটার পেছনে যারা আছেন তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’


রুয়েট কর্তৃপক্ষ বলছে, স্যালারি অটোমেশনের মাধ্যমে শুধু কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধ করা হচ্ছে তা নয়, যথাযথ ই-টিন এর আওতায় তাদের আনা হয়েছে। ওয়েবসাইটে নিজস্ব আইডি-পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ঘরে বসেই নিজের বেতন, ঋণ সুবিধা, কিস্তি পরিশোধ, ছুটিসহ সার্বিক বিষয়ে তথ্য পাচ্ছেন তারা।


এছাড়া স্যালারি অটোমেশনের মাধ্যমে সব হিসাব স্বচ্ছ ও সুন্দরভাবে গোছানো থাকায় কল্যাণ সেলের আওতায় অবসর গ্রহণকালীন ছুটিতে (পিআরএল) যাওয়া শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের শেষ কর্মদিবসেই নিজ নিজ হিসাবে সমস্ত আর্থিক সুবিধা পেয়ে থাকেন। প্রযুক্তির এই উৎকর্ষতার কারণে চাকরি শেষে রুয়েটের কাউকে আর নিজের পাওনা টাকার জন্য দফতরে দফতরে ঘুরতে হয় না।


রুয়েটের কম্পট্রোলার নাজিম উদ্দিন বলেন, সদ্যবিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সেখের নির্দেশনায় অ্যাকাউন্ট অটোমেশন সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে। এর মাধ্যমেই এ অসম্ভবকে সম্ভব করা যাচ্ছে। এ সফটওয়্যারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তির বিষয়টিও দ্রুত সম্পন্ন হচ্ছে।


এছাড়া চাকরির কোর্স রেজিস্ট্রেশন, স্নাতকোত্তর ভর্তির যাবতীয় কার্যাবলীর ক্ষেত্রে অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া চালু করেছে রুয়েট প্রশাসন। ফলে দেশের যেকোনো স্থান থেকে রুয়েটে চাকরিতে আবেদন ও এসএসএলের মাধ্যমে পেমেন্ট করা যায়। এতে শুধু সময়ই বাঁচে তা নয়, বরং আবেদন প্রক্রিয়ায় ভোগান্তি ও ত্রুটি দূর হয়েছে। একইসঙ্গে অনলাইন পদ্ধতিতে স্বচ্ছতার সাথে সহজেই চাকরি প্রার্থীদের আবেদনও যাচাই-বাছাই করা যায়।

« পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ »





  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ অঞ্জন কর

প্রকাশকঃ জেরীফ আফতাব কর্তৃক

জেড টাওয়ার (৬ষ্ট তলা), বাড়ী- ০৪, রোড-১৩২, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২ থেকে প্রকাশিত

ইমেইলঃ tribunenewsbd@gmail.com

© 2022 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || tribunenewsbd.com