ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের জামিন বাতিল করে আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। সেই আদেশের বিরুদ্ধে করা আবেদন খারিজ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। সম্রাটের করা আপিল আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ বেঞ্চ বুধবার (১০ আগস্ট) সকালে এ আদেশ দেন। এতে করে সম্রাটের জামিন বাতিলের আদেশ বহাল থাকলো বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান। 

এর আগে গত সোমবার (৮ আগস্ট) শুনানি শেষে এ বিষয়ে আদেশের জন্য ১০ আগস্ট দিন ধার্য করেছিলেন আপিল বিভাগ। আদালতে ওইদিন সম্রাটের পক্ষে ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও ব্যারিস্টার মো. মোস্তাফিজুর রহমান খান এবং দুদকের পক্ষে আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান শুনানি করেন।  

গত ২৩ মে সম্রাটের জামিন বাতিল করে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আবেদনের শুনানির জন্য আপিল বিভাগে পাঠিয়ে দেন চেম্বার জজ আদালত। এর আগে গত ১৮ মে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের মামলায় সম্রাটের জামিন বাতিল করে আদেশ দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ। একই সঙ্গে সাতদিনের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন আদালত। সম্রাট এই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে আপিল করলে গত ২৩ মে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রাখেন চেম্বার জজ আদালত। 

গত ১১ মে সম্রাটকে জামিন দিয়েছিলেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালত। এরপর জামিন বাতিল চেয়ে গত ১৬ মে হাইকোর্টে আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন। এ মামলায় জামিন পাওয়ার আগে সম্রাট তার বিরুদ্ধে করা আরও তিনটি মামলায় জামিন পান। চারটি মামলার সবকটিতেই জামিন পাওয়ায় গত ১১ মে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেল থেকে কারামুক্ত হন ক্যাসিনো কাণ্ডের হোতা সম্রাট। 

গত ১১ এপ্রিল রমনা থানায় দায়ের করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় জামিন পান সম্রাট। এর একদিন আগেই ১০ এপ্রিল অর্থপাচার ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের পৃথক দুটি মামলায় ঢাকার পৃথক আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

উল্লেখ্য, দেশব্যাপি ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সম্রাট ও তার সহযোগী তৎকালীন যুবলীগ নেতা এনামুল হক ওরফে আরমানকে কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব। ওই বছরের ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক।