কিশোরী ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন
ধর্ষণের ফলে জন্ম হওয়া নবজাতের দায়িত্ব নেবে রাষ্ট্র
আদালত প্রতিবেদক
প্রকাশ:
১১
আগস্ট
২০২২ ,
বৃহস্পতিবার
০৬ : ০৮ পিএম প্রদর্শিত হয়েছে ৩৮৬ বার
|
রাজধানী সবুজবাগে ১২ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর সন্তান জন্ম নেওয়ার মামলায় আসামি রাজু আহমেদকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নং-৩ এর বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আসামিকে ১ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়। এ দিন রায় ঘোষণার সময় আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার পর আসামিকে সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়। রায়ের পর্যবেক্ষনে বিচারক বলেন, আসামি কর্তৃক কৃত অপরাধ লজ্জাজনক, পূর্ব পরিকল্পনা প্রসূত, ভয়াবহ, সুস্থির চিন্তাযুক্ত এবং স্পর্শকাতর যা আমাদের বিবেককে তাড়িত ও ধ্বংসিত করে, যদিও অভিযোগপত্র পর্যালোচনায় আসামির অপরাধ সংগঠনের কোন ধরনের পূর্ব ইতিহাস বা পূর্ব নজির নাই। তথাপি আসামি সুন্দর ভাবে অপরাধ করার জন্য অপ্রাপ্তবয়স্ক ভিকটিমকে ধর্ষণ করেছেন। তাছাড়া আসামির উক্তরুপ অপরাধে ভিকটিম এর পুত্র সন্তান জন্মেছে এবং আসামি উক্ত সন্তানের জৈবিক পিতা। আইন শিশুকে পিতৃ পরিচয় প্রদান করেছে, কিন্তু শিশুটির পিতা-মাতার যত্ন ভালোবাসা দিতে অক্ষম। আসামিকে সর্বোচ্চ সাজা প্রদান করা হলে নবজাতক শিশুটি চিরতরে উক্ত ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হবে, যার কারণে আসামিকে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করা সমীচীন হবে না মর্মে প্রতিভাত হয়। তাছাড়া নবজাতক শিশুর বয়স ২১বৎসর পূর্তি না হওয়া পর্যন্ত সরকারি শিশু সোনামনি নিবাসে লেখাপড়াসহ রাষ্ট্র সমস্ত প্রকার খরচ বহন করবে মর্মে নির্দেশ দেওয়া হয়। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ঘটনাকালীন সময় ভুক্তভোগী ইস্টার্ন কলেজের বনশ্রী শাখায় ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াশোনা করত। তার মা একজন শিক্ষিকা। বাসায় মায়ের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে ২০১৭ সালের ১২ মে থেকে প্রায় সময়ই বাসায় এসে ভুক্তভোগীকে ফুসলিয়ে ও বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করত আসামি। পরে ভুক্তভোগীর মা ২০১৮ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি মেয়ের শারীরিক গঠন দেখে সন্দেহ হলে ইসলামী হাসপাতালে নিয়া গেলে ডাক্তার আল্ট্রাসনোগ্রাম করে জানায় তার মেয়ে ৮ মাসের গর্ভবতী। পরে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে ওই মেয়ে জানায়, ওই আসামি প্রায়ই বাসায় এসে তাকে ধর্ষণ করেছে। ওই ঘটনায় ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগীর মা মামলা করেন। ২০১৮ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি মামলার পর ভুক্তভোগী একটি পুত্র সন্তান প্রসব করে। পরের বছর ৭ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক তৃপ্তি খান আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৯ সালের ২৩ এপ্রিল আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলা বিচারকালে ১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ অঞ্জন কর
প্রকাশকঃ জেরীফ আফতাব কর্তৃক
জেড টাওয়ার (৬ষ্ট তলা), বাড়ী- ০৪, রোড-১৩২, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২ থেকে প্রকাশিত
ইমেইলঃ tribunenewsbd@gmail.com
© 2022 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || tribunenewsbd.com