শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
● পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল উদ্বোধন      ● সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর বঙ্গবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে      ● বঙ্গবাজারের আগুন নেভাতে হাতিরঝিল থেকে পানি নিচ্ছে হেলিকপ্টার      ● বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের খোঁজখবর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী      ● বঙ্গবাজারে ফায়ার সার্ভিসের ৫০ ইউনিট, ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন      ● ৫ ঘণ্টায়ও নেভেনি বঙ্গবাজারের আগুন      ● ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরে হামলা, টিয়ারশেল নিক্ষেপ      ● আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের সাথে নৌ-সেনা ও বিমানবাহিনী      ● বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ড: আশপাশের ৪ ভবনে ছড়িয়েছে আগুন      ● জ্বলছে বঙ্গবাজার : প্রতিনিয়ত বাড়ছে আগুনের তীব্রতা     
দেশের ইতিহাসে শেখ হাসিনাকে হত্যার যত অপচেষ্টা!
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫ আগস্ট ২০২২ , সোমবার ১০ : ০৮ এএম   প্রদর্শিত হয়েছে ৫১৭ বার

বাংলাদেশের ইতিহাসে ২০০৪ সালের একুশে আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার প্রথম কিংবা শেষ চেষ্টা নয়, এর আগে-পরে হত্যার উদ্দেশ্যে তার ওপর ১৫ বার সশস্ত্র হামলা হয়েছে। ষড়যন্ত্র হয়েছে আরও অন্তত পাঁচবার।


১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরার পর থেকেই স্বাধীনতাবিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে সক্রিয় হয়ে ওঠে। সে বছরই তার ওপর হামলা চালায় বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের সংগঠন ফ্রিডম পার্টির সন্ত্রাসীরা।


২৪ জানুয়ারি ১৯৮৮। লালদীঘি ময়দানে ৮-দলীয় জোটের সমাবেশে যোগ দিতে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে যাওয়ার পথে ট্রাক-মিছিলে সশস্ত্র হামলা হয়। এতে সাতজন নিহত হন। পরদিন জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে গুলি করেছিল পুলিশ ও বিডিআর।


১১ আগস্ট ১৯৮৯। আবারও বঙ্গবন্ধুর খুনি ফারুক-রশিদের ফ্রিডম পার্টির সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলা। শেখ হাসিনা ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে আছেন নিশ্চিত হয়ে রাত ১২টার দিকে ৭-৮ মিনিট ধরে গুলি চালায় সন্ত্রাসীরা। একটি গ্রেনেড নিক্ষেপ করলেও তা বিস্ফোরিত হয়নি।


১১ সেপ্টেম্বর ১৯৯১। গ্রিনরোডে একটি কেন্দ্রে ভোটের পরিস্থিতি দেখতে যান শেখ হাসিনা। গাড়ি থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গেই ২০-২৫ রাউন্ড গুলি ও বোমাবর্ষণ করা হয়। দৈনিক ইত্তেফাকে লেখা হয়, বিএনপির ওয়াহিদের নেতৃত্বে দলটির কর্মীরা এ হামলা চালিয়েছিল।


২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৯৪। ঈশ্বরদী ও নাটোর রেলস্টেশনের প্রবেশমুখে শেখ হাসিনাকে বহনকারী রেলগাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে সন্ত্রাসীরা।


১৯৯৫ সালের ৭ ডিসেম্বর রাসেল স্কয়ারের কাছে সমাবেশে ভাষণ দেয়ার সময় শেখ হাসিনার ওপর গুলিবর্ষণ করা হয়।


১৯৯৬ সালের ৭ মার্চ। সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে আওয়ামী লীগের সমাবেশে শেখ হাসিনা বক্তৃতা শেষ করেছেন মাত্র। হঠাৎ একটি মাইক্রোবাস থেকে সভামঞ্চ লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ ও বোমা নিক্ষেপ করা হয়। এতে ২০ জন আহত হন।


২০ জুলাই ২০০০। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান ডিগ্রি কলেজ মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভার প্রস্তুতি চলছে। হেলিপ্যাডের কাছে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা ধরা পড়ে গোয়েন্দাদের কাছে।


৩০ মে ২০০১। খুলনার রূপসা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করে হুজি-বি। তিনদিন আগে সেতুর কাছাকাছি রূপসা নদী থেকে দুটি ইঞ্জিনের নৌকা থেকে ১৫ জঙ্গি ধরা পড়লে সেটি আর সফল হয়নি।


২৫ সেপ্টেম্বর ২০০১। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সিলেটে নির্বাচনী জনসভায় শেখ হাসিনাকে হুজি-বি বোমা ফাটিয়ে মারার পরিকল্পনা করে। সভাস্থলের ৫০০ গজ দূরে একটি বাড়িতে বোমা বিস্ফোরিত হয়ে জঙ্গিদের দুজন নিহত হলে সেই চক্রান্ত ভেস্তে যায়।


৪ মার্চ ২০০২। যুবদল ক্যাডার খালিদ বিন হেদায়েত নওগাঁয় বিএমসি সরকারি মহিলা কলেজের সামনে জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের তৎকালীন নেতা শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা চালায়।


৩০ সেপ্টেম্বর এপ্রিল ২০০২। সাতক্ষীরার কলারোয়ায় রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে শেখ হাসিনার ওপর হামলা চালানো হয়। বিভিন্ন পত্রপত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্ষমতাসীন জোটের এমপির প্রত্যক্ষ মদতে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা চালায় বিএনপি-জামায়াত জোট সন্ত্রাসীরা।


২ এপ্রিল ২০০৪। আবারও বিএনপি-জামায়াত জোটের সন্ত্রাসীদের হামলা। বরিশালের গৌরনদীতে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে গুলিবর্ষণ করা হয়।


২০০৪ সালের ২১ আগস্ট। শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে চালানো সবচেয়ে বড় হামলায় ২৪ জন নিহত ও কমপক্ষে ৪০০ জন আহত হন।


১৯৯৯ সালের ১২ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের ৩১ জনকে হত্যার জন্য পুরস্কার ঘোষণার একটি ই-মেইল ফাঁস হয়। ই-মেইলটি পাঠানো ইন্টার এশিয়া টিভির মালিক শোয়েব চৌধুরীর বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলা করা হয়।


২০০৭ সালের ১৬ জুলাই সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করে। জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় স্থাপিত বিশেষ সাব-জেলে তাকে স্লো পয়জনিংয়ের মাধ্যমে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়।

« পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ »





  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ অঞ্জন কর

প্রকাশকঃ জেরীফ আফতাব কর্তৃক

জেড টাওয়ার (৬ষ্ট তলা), বাড়ী- ০৪, রোড-১৩২, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২ থেকে প্রকাশিত

ইমেইলঃ tribunenewsbd@gmail.com

© 2022 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || tribunenewsbd.com