বৃহস্পতিবার ০৫ অক্টোবর ২০২৩
● পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল উদ্বোধন      ● সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর বঙ্গবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে      ● বঙ্গবাজারের আগুন নেভাতে হাতিরঝিল থেকে পানি নিচ্ছে হেলিকপ্টার      ● বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের খোঁজখবর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী      ● বঙ্গবাজারে ফায়ার সার্ভিসের ৫০ ইউনিট, ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন      ● ৫ ঘণ্টায়ও নেভেনি বঙ্গবাজারের আগুন      ● ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরে হামলা, টিয়ারশেল নিক্ষেপ      ● আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের সাথে নৌ-সেনা ও বিমানবাহিনী      ● বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ড: আশপাশের ৪ ভবনে ছড়িয়েছে আগুন      ● জ্বলছে বঙ্গবাজার : প্রতিনিয়ত বাড়ছে আগুনের তীব্রতা     
রূপকথার মতো সুন্দর এক গ্রাম
ভ্রমণ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ মে ২০২২ , সোমবার ১২ : ০৫ পিএম   প্রদর্শিত হয়েছে ৪০৩ বার

গিটহোর্ন গ্রাম

কোথাও কোনো শব্দ নেই, কোনো বায়ু দূষণ নেই দেখতে ছবির মতো সুন্দর এ যেন রূপকথার এক গ্রাম। রূপকথার এ রাজ্য দেখতে চাইলে যেতে পারেন গিটহোর্ন গ্রামে। এটি নেদারল্যান্ডসের ছোট্ট এবং সুন্দর একটা গ্রাম। এটাকে ‘নেদারল্যান্ডসের ভেনিস’ও বলা হয়। সবুজে ঘেরা জাদুকরী এ গ্রামটি পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়।


ডাচ ফিল্মমেকার বার্ট হান্সট্রা তার কমেডি ফিল্ম ‘ফ্যানফেয়ার’-এর শুটিং এ গ্রামে করার পর ১৯৫৮ সালে গ্রামটা বিশ্বের নজরে আসে।


গিটহোর্ন পুর্বে পথচারীদের বিশ্রামের জন্য ব্যবহার করা হতো। তবে এখন এর পরিচয় ভিন্ন হয়ে উঠেছে। এই ছোট্ট জায়গাটি স্থানীয় ভাবে বিখ্যাত হয়ে ওঠে এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের কারণে। ১৯৫৮ সালের এর খ্যাতি আরো ছড়িয়ে যায়, যখন বিখ্যাত ডাচ চলচ্চিত্র নির্মাতা বার্ট হান্সত্রা তার বিখ্যাত কমেডি চলচ্চিত্র ফ্যানফেয়ার  এর চিত্রধারন গিটহোর্নে করেন। গিটহোর্নের পুরনো অংশে কোন রাস্তা ছিলো না, যদিও একটি সাইকেল চলাচলের পথ অবশেষে যোগ করা হয়েছে। সমস্ত পরিবহন পানিপথে সম্পন্ন করা হতো। গিটহোর্নে প্রচুর নদী ও খাল দীর্ঘ পানিপথ তৈরী করেছে। গিটহোর্ন পূর্বে একটি পৃথক পৌরসভা ছিল। ২০০১ সালে স্টেনউইজকের সাথে এর একত্রীকরণ হয়।


এখানে যেতে হয় পানিপথে। গ্রামের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে যেতে এখানকার বাসিন্দারা নৌকা ব্যবহার করেন। গ্রামের শান্ত পরিবেশ বজায় রাখতে নৌকাগুলোতে ব্যবহার করা হয় শব্দ ছাড়া ইঞ্জিন। ইতিহাস থেকে জানা যায়, এ গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় মাটির নিচে ছোট -বড় ফাঁপা অংশ ছিল। গ্রামে মানুষ বসবাস শুরু করার পর, সেগুলি খুঁড়ে বার করতে শুরু করে। বছরের পর বছর ধরে সেগুলি খুঁড়ে বার করার ফলে গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় ছোটখাটো হ্রদ তৈরি হয়। এ গুলোর একটার সঙ্গে আরেকটা সংযোগ করে এ গ্রামে যেতে পানিপথ তৈরি হয়েছে।


গ্রামের বিভিন্ন দিক থেকে খালগুলি চলে যাওযায় গ্রামটাও ছোট ছোট দ্বীপে পরিণত হয়েছে। এ দ্বীপগুলোর মধ্যে যোগসূত্র তৈরি করেছে ১৫০টিরও বেশি সেতু। রাজধানী আমস্টারডাম থেকে এ গ্রামটির দুরত্ব ৭৫ কিলোমিটার। বাস বা ট্রেনে সহজেই যাওয়া যায় এ গ্রামের সীমানায়।

« পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ »





  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ অঞ্জন কর

প্রকাশকঃ জেরীফ আফতাব কর্তৃক

জেড টাওয়ার (৬ষ্ট তলা), বাড়ী- ০৪, রোড-১৩২, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২ থেকে প্রকাশিত

ইমেইলঃ tribunenewsbd@gmail.com

© 2022 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || tribunenewsbd.com