বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ভারতের টুইন টাওয়ার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ:
২৮
আগস্ট
২০২২ ,
রবিবার
০১ : ০৮ পিএম প্রদর্শিত হয়েছে ৪৫০ বার
|
ভারতের উত্তরপ্রদেশের নয়ডাতে রোববার (২৮ আগস্ট) বিকেলে বড় বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে ‘সুপারটেক’ টুইন টাওয়ার ভবন গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। ভারতীয় সময় দুপুর আড়াইটায় বিস্ফোরকের সাহায্যে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে বিতর্কিত বহুতল এই ভবন দুটি। যার কারণে নির্মাণকারী সংস্থা সুপারটেকের ক্ষতি হবে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা। বিস্ফোরণের কারণে আশপাশের অবকাঠামো ও মানুষজনের যেন ক্ষতি না হয়, তা নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। খবর এনডিটিভির। নয়ডাতে অবস্থিত বিতর্কিত এই বহুতল ভবন দুটির নাম অ্যাপেক্স এবং সিয়ানে। এগুলোর মধ্যে একটির উচ্চতা ১০৩ মিটার। দ্বিতীয়টির উচ্চতা ৯৭ মিটার। বহুতল এই ভবনগুলো গুঁড়িয়ে দিতে হরিয়ানা থেকে ডিনামাইটসহ ৩ হাজার ৭০০ কেজি বিস্ফোরক আনা হয়েছে। দুটি ভবনের স্তম্ভে প্রায় ৭ হাজার ছিদ্রের ভেতর বিস্ফোরক ঢোকানো হয়েছে। ২০ হাজার সার্কিট স্থাপন করা হয়েছে সেখানে। বিস্ফোরণের কারণে স্তম্ভগুলো এমনভাবে ভেঙে পড়বে, যেন তা সোজাসুজি নিচে পড়ে। একে বলা হয় ‘ওয়াটারফল টেকনিক’। জানা যায়, বিধি লঙ্ঘন করে ভবন দুটি নির্মাণের প্রমাণ পাওয়ায় ভারতের সুপ্রিম কোর্টের আদেশে তা গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান প্রতিটি টাওয়ার ৪০ তলা করে নির্মাণের পরিকল্পনা করেছিল। তবে আদালতের আদেশের কারণে কিছু তলা নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। বিস্ফোরণে গুঁড়িয়ে দেওয়ার আগেই কিছু ভবন ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে ভেঙে ফেলা হয়। দুটি টাওয়ারের মধ্যে অ্যাপেক্স টাওয়ারে এখন ৩২টি তলা আছে আর সিয়ান নামের টাওয়ারে আছে ২৯টি তলা। ২০২১ সালের অগাস্ট মাসে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট দুটি ভবনের মধ্যে ন্যূনতম জায়গা ছাড় না রাখার অভিযোগে টুইন টাওয়ার ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, উত্তর প্রদেশ আবাসন আইন অনুসারে ফ্ল্যাট মালিকদের সম্মতি ছাড়াই বেআইনিভাবে ভবন দুটি নির্মাণ করা হয়েছে। এই বেআইনি কাজের জন্য নয়ডা কর্তৃপক্ষ এবং সুপারটেকের মধ্যে আঁতাত তৈরি হয় বলেও রায়ে মন্তব্য করেন আদালত। পরে ভবন দুটির ফ্ল্যাট মালিকদের অনেকেই আদালতের দ্বারস্থ হন। প্রথমে ঠিক করা হয়েছিল, ২০২২ সালের মে মাসে ভবন দুটি ভেঙে ফেলা হবে। পরে সুপ্রিম কোর্ট ২৮ অগাস্ট পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেন। কিন্তু প্রযুক্তিগত জটিলতা এবং আবহাওয়ার প্রতিকূলতার কথা মাথায় রেখে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, বহুতল ভবন দুটি ভাঙার যাবতীয় খরচ নির্মাণকারী সংস্থা সুপারটেককেই বহন করতে হবে। এই কাজ করতে খরচ হবে অন্তত ২০ কোটি টাকা। |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ অঞ্জন কর
প্রকাশকঃ জেরীফ আফতাব কর্তৃক
জেড টাওয়ার (৬ষ্ট তলা), বাড়ী- ০৪, রোড-১৩২, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২ থেকে প্রকাশিত
ইমেইলঃ tribunenewsbd@gmail.com
© 2022 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || tribunenewsbd.com