শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
● পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল উদ্বোধন      ● সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর বঙ্গবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে      ● বঙ্গবাজারের আগুন নেভাতে হাতিরঝিল থেকে পানি নিচ্ছে হেলিকপ্টার      ● বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের খোঁজখবর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী      ● বঙ্গবাজারে ফায়ার সার্ভিসের ৫০ ইউনিট, ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন      ● ৫ ঘণ্টায়ও নেভেনি বঙ্গবাজারের আগুন      ● ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরে হামলা, টিয়ারশেল নিক্ষেপ      ● আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের সাথে নৌ-সেনা ও বিমানবাহিনী      ● বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ড: আশপাশের ৪ ভবনে ছড়িয়েছে আগুন      ● জ্বলছে বঙ্গবাজার : প্রতিনিয়ত বাড়ছে আগুনের তীব্রতা     
মাটির নিচে গ্রামে ৩০০০ মানুষের বসবাস
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ , বুধবার ০৫ : ০৯ পিএম   প্রদর্শিত হয়েছে ২৬৫১ বার

উপর থেকে দেখে বোঝার কোনও উপায় নেই যে এখানে পায়ের তলায় (মাটি থেকে ২২-২৩ ফুট গভীরে) বসবাস করছে একটা গোটা গ্রাম। কারণ গোটা গ্রামটাই গড়ে উঠেছে মাটির নিচে। এই গ্রামের প্রতিটি বাড়ির স্থাপত্য পরিকল্পনা এক কথায় অসাধারণ। সেখানকার বাসিন্দারা বেশ আনন্দের সঙ্গেই বাস করেন ভূ-গর্ভস্থ এই গ্রামে। ঘরগুলোতে তাপমাত্রা শীতকালে ১০ ডিগ্রি কম হয় না আর গ্রীষ্মে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকে না।


চীনের হেনান প্রদেশের সানমেনশিয়ায় রয়েছে এই অদ্ভুত গ্রাম। প্রায় ২০০ বছর ধরে এখানে মাটির তলাতেই বাড়ি বানিয়ে বসবাস করছেন কয়েক হাজার মানুষ। সানমেনশিয়া এলাকায় এমন অন্তত ১০ হাজার ঘরের সন্ধান মিলেছে। এগুলোর বেশির ভাগই বর্তমানে পরিত্যক্ত। মাটির নিচে তৈরি এই ঘরগুলোকে চীনা ভাষায় বলা হয় ‘ইয়ায়োডং’, যার অর্থ হল গুহা ঘর। জানা গেছে, একটা সময়ে এখানে প্রায় হাজার বিশেক মানুষের বসবাস ছিল। কিন্তু আধুনিক সুযোগ সুবিধার অভাবে এবং প্রতিকূল জীবনযাত্রার চাপে অনেকেই এলাকা ছেড়ে চলে যান। তবে এখনও সানমেনশিয়া এলাকার এই গুহা ঘরগুলোতে প্রায় ৩ হাজার মানুষ বসবাস করেন।  


তবে চীনের পার্বত্য এলাকায় আজ থেকে প্রায় ৪০০০ বছর আগে, ব্রোঞ্জ যুগে এই ধরনের গুহা ঘর তৈরি করে বসবাস করতেন একদল মানুষ। মাটি থেকে ২২-২৩ ফুট গভীরে তৈরি এই ঘরগুলো লম্বায় ৩৩ থেকে ৩৯ ফুট পর্যন্ত হয়। ঐতিহাসিকদের মতে, হেনান প্রদেশের সানমেনশিয়ায় ‘ইয়ায়োডং’-এ বসবাসের ইতিহাস ২০০ বছরের বেশি প্রাচীন নয়। তবে চীনের পার্বত্য এলাকায় আজ থেকে প্রায় ৪ হাজার বছর আগে, ব্রোঞ্জ যুগে এই ধরনের গুহা ঘর তৈরি করে বসবাস করতেন একদল মানুষ। এ ধরনের ঘরের কাঠামোগুলোও ভূমিকম্পরোধী ও সাউন্ড-প্রুফিং। এমনকি বন্যা ও ঝড় প্রতিরোধকারী প্রশস্ত কূপও আছে সেখানে। তারা মিং ও কিং রাজবংশের সময় ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়েছিল। বর্তমানে ৩০ মিলিয়নেরও বেশি চাইনিজরা এ ধরনের ঘরে বসবাস করেন।


২০১১ সাল থেকে এই গ্রামটির সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে স্থানীয় প্রশাসন। বর্তমানে এই সব ‘ইয়ায়োডং’ বা গুহা ঘরগুলোতে বিদ্যুত সংযোগসহ সব রকম আধুনিক সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, ইয়ায়োডংগুলো ভূমিকম্পেও ক্ষতিগ্রস্ত হয় না।


আশ্চর্য এই ঘরগুলোর আকর্ষণে এই এলাকায় বর্তমানে পর্যটকদের আনাগোনা অনেকটাই বেড়ে গেছে। পর্যটক টানার জন্য এখন ‘ইয়ায়োডং’ ভাড়া দেওয়ারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। এক মাসের জন্য ভাড়ায় এই ‘ইয়ায়োডং’-এ থাকতে চাইলে আপনাকে গুনতে হবে প্রায় ২ হাজার ৮১ টাকা (২১ ইউরো)। পছন্দ হয়ে গেলে কিনেও নিতে পারেন এ রকম একটি গুহা ঘর। শীততাপ নিয়ন্ত্রিত এই ‘ইয়ায়োডং’-এর দাম বাংলাদেশি মূদ্রায় প্রায় ৩১ লাখ ৭১ হাজার ৫৩৬ টাকা (৩২ হাজার ইউরো)।

« পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ »





  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ অঞ্জন কর

প্রকাশকঃ জেরীফ আফতাব কর্তৃক

জেড টাওয়ার (৬ষ্ট তলা), বাড়ী- ০৪, রোড-১৩২, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২ থেকে প্রকাশিত

ইমেইলঃ tribunenewsbd@gmail.com

© 2022 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || tribunenewsbd.com