বৃহস্পতিবার ০৫ অক্টোবর ২০২৩
● পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল উদ্বোধন      ● সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর বঙ্গবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে      ● বঙ্গবাজারের আগুন নেভাতে হাতিরঝিল থেকে পানি নিচ্ছে হেলিকপ্টার      ● বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের খোঁজখবর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী      ● বঙ্গবাজারে ফায়ার সার্ভিসের ৫০ ইউনিট, ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন      ● ৫ ঘণ্টায়ও নেভেনি বঙ্গবাজারের আগুন      ● ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরে হামলা, টিয়ারশেল নিক্ষেপ      ● আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের সাথে নৌ-সেনা ও বিমানবাহিনী      ● বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ড: আশপাশের ৪ ভবনে ছড়িয়েছে আগুন      ● জ্বলছে বঙ্গবাজার : প্রতিনিয়ত বাড়ছে আগুনের তীব্রতা     
ঘুরে আসতে পারেন সৌন্দর্যে ভরপুর হিমছড়ি ঝরনা ও ইকোপার্ক
ভ্রমণ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ , বৃহস্পতিবার ০১ : ০৯ পিএম   প্রদর্শিত হয়েছে ৩৫০৪ বার

ছুটির দিনে বা মানসিক প্রশান্তির খোঁজে ভ্রমণ করতে পারেন কক্সবাজার জেলায় অবস্থিত হিমছড়ি ঝরনা ও ইকোপার্ক পর্যটনকেন্দ্রে। এটি অত্যন্ত মনোরম এবং সুদৃশ্য একটি জায়গা, যা আপনার মনে প্রশান্তি এনে দেবে মুহূর্তেই। এই হিমছড়ি ঝরনা এবং ইকোপার্কের চারপাশে রয়েছে অসংখ্য সবুজ গাছপালা। অন্যদিকে রয়েছে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের নীল জলরাশির পানির সঙ্গে প্রচণ্ড বাতাস। এই সবকিছু মিলিয়েই মনোরম সৌন্দর্যে ভরপুর কক্সবাজার হিমছড়ি ঝরনা ও ইকোপার্ক।


ইকোপার্কে প্রবেশের জন্য টিকিট মূল্য ২০ টাকা। টিকিট কেটে প্রবেশ করলে উপভোগ করতে পারবেন হিমছড়ির আসল সৌন্দর্য।


জেলা সদর হতে ৯ কিমি. দূরে অবস্থিত হিমছড়ি। পাহাড়, সমুদ্র ও ঝরনা এই তিনে মিলে হিমছড়ি অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি এবং পর্যটন স্পট। পর্যটন মৌসুমে এখানে পর্যটকদের আনাগোনা বেশি পরিলক্ষিত হয়। কক্সবাজার জেলায় ভ্রমণ করতে এলে পর্যটকরা একবার হলেও হিমছড়ি ঝরনা দেখতে চায়।


১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে হিমছড়িসহ আশপাশের অনেক পর্যটন স্পট ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বর্তমানে হিমছড়ি এলাকাটি অনেকটাই সংস্কার করা হয়েছে। সিঁড়ি বেয়ে উঁচু পাহাড়ে উঠে সাগর, পাহাড় ও কক্সবাজারের নৈসর্গিক সৌন্দর্য অতিসহজেই উপভোগ করা যায়।


হিমছড়ি যাওয়ার পথিমধ্যে দরিয়ানগরসহ অনেক পিকনিক স্পট আছে। ছোট ছোট সুরেলা ঝরনার পানিপ্রবাহ অবলোকন করতে চাইলে পর্যটকদের ভরা পর্যটন মৌসুম ব্যতীত বর্ষা মৌসুমে আসতে হবে।


হিমছড়ি যাওয়ার পথে যারা হৈ-হুল্লোড় পছন্দ করেন, বন্ধুদের নিয়ে উল্লাস করতে ভালোবাসেন তারা খোলা ছাদের জিপ করে যেতে পারেন। ছুটে চলা খোলা জিপের ওপর দাঁড়িয়ে দুই পাশে তাকালে মনে হবে যেন স্বপ্নের দেশে ভেসে যাচ্ছেন। এটি হতে পারে আপনার জীবনের সেরা অভিজ্ঞতা। আর যারা একটু শান্ত, ভদ্রভাবে পরিবার কিংবা স্ত্রীকে নিয়ে যেতে চান তাদের জন্য আছে রিকশা।


দুপুরের রোদ কমে যাওয়ার পর হিমছড়ির উদ্দেশে রওনা হওয়া ভালো। পথ চলতে হবে কক্সবাজারের নানা চিংড়ি হ্যাচারির মাঝ দিয়ে। আর হিমছড়ি যাওয়ার রাস্তা কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়ক। এর পাশে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত হওয়ায় আরও মনোরোম দৃশ্যে ফুটে উঠেছে সড়কটি। এ ছাড়া সড়কটির পাশে রয়েছে অসংখ্য ঝাউগাছ রয়েছে। যা আপনার মনে এনে দিবে এক অন্যরকম প্রশান্তি। মাঝে মাঝে দেখবেন জেলে নৌকা বালির ওপর সারি করে রাখা আছে।


কীভাবে যাবেন হিমছড়ি ঝরনা ও ইকোপার্কে

রামু হতে ২৫ কিমি ও কক্সবাজার হতে প্রায় ১০ কিমি দক্ষিণে অবিস্থিত হিমছড়ি। কক্সবাজার থেকে দুইভাবে যাওয়া যায়। জিপ ভাড়া করে অথবা রিকশায়। আবার বেবি ট্যাক্সিও ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাও ভাড়া পাওয়া যায়। এ ছাড়া কলাতলী স্ট্যান্ড থেকে অটোরিকশা অথবা চান্দের গাড়িতে করে মাত্র ১৫ মিনিটে হিমছড়িতে পৌঁছাতে পারবেন। আবার বাজার থেকে আপনি গাড়িও ভাড়া করতে পারবেন।


কোথায় থাকবেন

কক্সবাজারে থাকার ব্যবস্থা খুবই উন্নত। এখানে পাঁচতারকা মানের বেশ কয়েকটি হোটেলসহ সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন মানের প্রচুর হোটেল, মোটেল ও গেস্টহাউস রয়েছে।


যেসব সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন

- ঝরনার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।

- হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান দেখতে পারবেন।

- সৈকতের কাছে অবস্থিত একটি ক্রিসমাস ট্রি দেখতে পারবেন।

- কক্সবাজারে বেড়াতে এলে এখানকার আদিবাসীদের তৈরি বিভিন্ন পণ্য যেমন: হাতে বোনা কাপড়, গৃহস্থলীর বিভিন্ন সামগ্রী কিনতে পারবেন।


খাবার সুবিধা

হিমছড়িতে খাওয়ার জন্য মানসম্মত হোটেল রয়েছে। এ ছাড়া কক্সবাজার কলাতলীতে যেখান থেকে হিমছড়ির উদ্দেশে গাড়িতে উঠবেন সেখান থেকেও খাবার খেয়ে নিতে পারেন। সব জায়গায় ভালো মানের খাবার রয়েছে।


সবকিছু মিলে হিমছড়ি এক অসাধারণ সৌন্দর্য ভরপুর পর্যটনকেন্দ্র। বছরের পুরো মাসজুড়ে এটির সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।

« পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ »





  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ অঞ্জন কর

প্রকাশকঃ জেরীফ আফতাব কর্তৃক

জেড টাওয়ার (৬ষ্ট তলা), বাড়ী- ০৪, রোড-১৩২, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২ থেকে প্রকাশিত

ইমেইলঃ tribunenewsbd@gmail.com

© 2022 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || tribunenewsbd.com