যেভাবে এলো ‘মহালয়া’
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ:
২৫
সেপ্টেম্বর
২০২২ ,
রবিবার
০৩ : ০৯ পিএম প্রদর্শিত হয়েছে ৮০১৭ বার
|
‘মহালয়া’ কথাটি এসেছে মহালয় থেকে। মহালয়ের অর্থ পরমাত্মা। বৃহৎ আলয়। সৌর আশ্বিনের কৃষ্ণপক্ষের নাম মহালয়। ব্যাকরণগত দিক— মহান আলয় যাহাতে তাহা— বহুব্রীহি সমাস। মহালয় + আপ- স্ত্রীলিঙ্গে মহালয়া। অন্যদিকে— মহালয়া যেহেতু একটি তিথি- এই তিথি শব্দটি সংস্কৃতে স্ত্রীলিঙ্গ বলেই বিশেষণ হিসেব শব্দটি হয়েছে মহালয়া। মহালয়া হলো শারদীয়া দুর্গাপুজার আগে অমাবস্যা- অর্থাৎ আশ্বিন মাসের কৃষ্ণ পক্ষের অমাবস্যা। দুর্গোৎসবের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। এক— মহালয়া, দুই — বোধন, তিন — সন্ধিপুজা। মহালয়া তিথিটিকে বলা হয়েছে দুর্গোৎসবের প্রস্তুতিপর্ব। হিন্দুধর্ম যে কোনও শুভ কাজে যেমন বিয়ে, উপনয়ন ইত্যাদি কাজের আগে নান্দীমুখ শ্রাদ্ধ করতে হয়, তেমন মাতৃ আরাধনার আগে পূর্বপুরুষদের স্মরণ করে তিলজল নিবেদন করতে হয়। এর মূলে রয়েছে বিশ্বাস— কেউ মারা গেলেও তার আত্মার মৃত্যু হয় না। আত্মার বিনাশ বা ক্ষয় নেই। পিতৃপুরুষের আত্মার তৃপ্তি সাধনের জন্য মহালয়ার তর্পণ-শ্রাদ্ধ। তর্পণ-শ্রাদ্ধ শেষ করেই দেবীপক্ষের দিকে এগিয়ে যাওয়া। মহালয়া হলো পিতৃপক্ষের শেষ ও দেবীপক্ষের শুরুর সন্ধিক্ষণ। বলা যায় মহালয়া দেবীপক্ষের শুরু। প্রচলিত বিশ্বাস, হিমালয়ের কৈলাস পর্বত শৃঙ্গ থেকে দেবী দুর্গা মহালয়ার ক্ষণ থেকে বাবার বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। কাজেই মহালয়া তিথিটি বিশেষ স্থান অধিকার করে নিয়েছে দুর্গাপূজার ক্ষেত্রে। মহালয়ার 'স্তোত্র' পাঠে অংশ নেন দেবীর ভক্ত ও অনুরাগীরা। নানান বয়সের ভক্তরা আসেন দেবী বন্দনায় অংশ নিতে। সুখ, শান্তি আর সম্মৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা জানাতে। |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ অঞ্জন কর
প্রকাশকঃ জেরীফ আফতাব কর্তৃক
জেড টাওয়ার (৬ষ্ট তলা), বাড়ী- ০৪, রোড-১৩২, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২ থেকে প্রকাশিত
ইমেইলঃ tribunenewsbd@gmail.com
© 2022 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || tribunenewsbd.com