ই-টিকিটিং: গণপরিবহনে স্বস্তির বার্তা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ:
২৭
সেপ্টেম্বর
২০২২ ,
মঙ্গলবার
১১ : ০৯ এএম প্রদর্শিত হয়েছে ৮১৭৪ বার
|
রাজধানীতে গণপরিবহনে ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য দীর্ঘদিনের। সরকার ভাড়া নির্ধারণ করে দিলেও তা মানতো না কোনো গণপরিবহন। এ বিষয়ে যাত্রীদের অভিযোগেরও অন্ত ছিল না। কিছুদিন আগে সেই ধারা থেকে বেরিয়ে বাস ভাড়ায় ই-টিকিটিংয়ের নিয়ম চালু করেছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। গত শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) থেকে রাজধানীতে পরীক্ষামূলকভাবে চারটি পরিবহন কোম্পানিতে ই-টিকিটিং চালু হয়েছে। এতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য থেকে মুক্তির বার্তা মিলেছে। এর মাধ্যমে চার্ট অনুযায়ী আদায় করা হচ্ছে ভাড়া। বাস কাউন্টারগুরোতে একটি পজ মেশিনের মাধ্যমে যাত্রীরা টিকিট কেটে গাড়িতে ওঠছেন। মিরপুর-১২ নম্বর থেকে ঢাকেশ্বরীগামী মিরপুর সুপার লিংক, ঘাটারচর থেকে উত্তরাগামী প্রজাপতি ও পরিস্থান এবং গাবতলী থেকে গাজীপুরগামী বসুমতি পরিবহনের বাসে এ পদ্ধতিতে ভাড়া আদায় শুরু হয়েছে। ই-টিকিটিং-এর বিষয়ে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, ‘সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় ঠেকাতে ই-টিকিটিং একটি কার্যকর পদ্ধতি। আমরা পরীক্ষামূলকভাবে চারটি পরিবহনে চালু করেছি, যাত্রীদের কাছ থেকে ভালো রেন্সপন্স পাচ্ছি। এ সপ্তাহেই আরও তিনটি রুটে চালুর পরিকল্পনা আছে।’ তিনি জানান, গাবতলী থেকে যমুনা ফিউচার পার্ক হয়ে বাড্ডা-স্টাফ কোয়ার্টার রুটে অছিম পরিবহন, রাজধানী পরিবহন ও নূরে মক্কা পরিবহনে এ পদ্ধতি চালু হবে। খুব শিগগিরই পুরোদমে ই-টিকিটিং পদ্ধতি চালুর আশা প্রকাশ করেন তিনি। বহুদিন ধরেই রাজধানীতে চলাচলকারী বাসগুলোতে নির্দিষ্ট দূরত্বে কোম্পানিগুলো ‘চেক পয়েন্ট’ বসিয়ে যাত্রীর হিসাব রেখে আসছিল। কোম্পানির চেকার নির্দিষ্ট স্থানে বাস থামিয়ে কতজন যাত্রী আছে, মাথা গুনে কাগজে লিখে দেন। এর ফলে একজন যাত্রী বাসে উঠে পরের স্ট্যান্ডে নেমে গেলেও বাড়তি ভাড়া দিতে হয়। এই পুরো প্রক্রিয়াটাকে মূলত ‘ওয়েবিল’ বলে। এটার মানেই হলো সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বাড়তি টাকা আদায় করা। আর যারা এই ‘ওয়ে বিল’র কাগজে স্বাক্ষর করে নামার সময় বাসের সুপারভাইজারের কাছ থেকে চেকার নিয়ে থাকেন ১০ থেকে ২০ টাকা। এখন ই-টিকিটিং পদ্ধতি যেসব পরিবহনে চালু হয়েছে, সেসবের মালিক সহজেই দিনের আয়ের হিসাব পাবেন। এ পদ্ধতি চালুর পর থেকে ‘ওয়েবিল’র সঙ্গে বড় ধরনের ফারাক দেখছেন যাত্রীরা। আগে যে গন্তব্যে যেতে ২০ থেকে ২৫ টাকা গুনতে হতো এখন সেখানে ভাড়া নেয়া হচ্ছে সর্বোচ্চ ১৫ টাকা। সুপারভাইজারের সাথেও যাত্রীদের এখন কথা কাটাকাটি হচ্ছে না। এতে যাত্রীদের পাশাপাশি পরিবহনের কর্মীরাও স্বস্তিতে আছেন। এদিকে ই-টিকিটিং চালুর ফলে শিক্ষার্থীরা কিছুটা ঝামেলায় পড়েছেন। কারণ, এখানে সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা করে রাখা হচ্ছে। আর নির্দেশ অনুযায়ী শুক্র-শনিবার শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়া রাখা হচ্ছে না। এতে বিড়ম্বনায় পড়েছেন তারা। বন্ধের দিনও শিক্ষার্থীদের অনেক কাজে বাইরে বের হতে হয়’ কিন্তু তখন ভাড়া নিয়ে বিপত্তি বাধে। এতে বাকবিতণ্ডার মতো ঘটনাও ঘটছে কিছু জায়গায়। শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া প্রসঙ্গে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্যাহ বলেন, হাফ ভাড়ার বিষয়টি বিবেচনায় আছে। দ্রুতই এর সমাধান হবে। |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ অঞ্জন কর
প্রকাশকঃ জেরীফ আফতাব কর্তৃক
জেড টাওয়ার (৬ষ্ট তলা), বাড়ী- ০৪, রোড-১৩২, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২ থেকে প্রকাশিত
ইমেইলঃ tribunenewsbd@gmail.com
© 2022 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || tribunenewsbd.com