আইনজীবীর জিম্মায় মুক্ত থাকছেন সেলিম খান
আদালত প্রতিবেদক
প্রকাশ:
২৮
সেপ্টেম্বর
২০২২ ,
বুধবার
১১ : ০৯ এএম প্রদর্শিত হয়েছে ৮০০১ বার
|
দুর্নীতির মামলায় চাঁদপুরের বালুখেকো ও বিতর্কিত ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খান আপাতত মুক্ত থাকছেন। মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো.আছাদুজ্জামানের আদালতে আসামি আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। এদিন তার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহীনুর ইসলাম। অপরদিকে দুদকের পক্ষে আইনজীবী খোরশেদ আলম ও মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক আগামী ১২ অক্টোবর দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনসহ জামিন শুনানির জন্য দিন রেখেছেন। এ সময় পর্যন্ত তিনি আইনজীবীর জিম্মায় মুক্ত থাকবেন। আইনজীবী সেদিন তাকে আদালতে হাজির করার ব্যাপারে মুচলেকা দাখিল করেন। গত ১ আগস্ট দুদকের সহকারী পরিচালক আতাউর রহমান বাদী হয়ে সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর গত ১৪ সেপ্টেম্বর সেলিম খানকে ৪ সপ্তাহের আগাম জামিন দেন বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্টর দ্বৈত বেঞ্চ। একইসঙ্গে চার সপ্তাহ পর তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। পরবর্তীতে ১৮ সেপ্টেম্বর সেলিম খানকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে দুদক। ২০ সেপ্টেম্বর চেম্বার আদালত তার জামিন বাতিলের আদেশ দেন। একইসঙ্গে ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন আদালত। মামলার অভিযোগে বলা হয়, সেলিম খান অবৈধ উপায়ে ৩৪ কোটি ৫৩ লাখ ৮১ হাজার ১১৯ টাকার সম্পদ তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে অর্জন করে নিজ ভোগদখলে রেখেছেন। এছাড়া তিনি ৬৬ লাখ ৯৯ হাজার ৪৭৭ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। এছাড়া চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত ভূমি অধিগ্রহণের জন্য সেলিম খানের ইউনিয়নের মেঘনা পাড়ে একটি এলাকা নির্ধারণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ৬২ একর ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করতে গিয়ে দেখা যায়, চেয়ারম্যান সেলিম খান, তার ছেলেমেয়েসহ অন্য জমির মালিকরা অস্বাভাবিক মূল্যে দলিল তৈরি করেছেন। ফলে ওই জমি অধিগ্রহণে সরকারের ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৫৫৩ কোটি টাকা। জমির অস্বাভাবিক মূল্য নিয়ে জেলা প্রশাসকের তদন্তে সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থ লোপাট করার পরিকল্পনা ধরা পড়ে। পরে ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো প্রতিবেদনে বিষয়গুলো উল্লেখ করেন জেলা প্রশাসক, যা নিয়ে সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এর আগে চাঁদপুর ভূমি অধিগ্রহণ সম্পর্কে অসত্য ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য উপস্থাপন করায় চেয়ারম্যান সেলিম খানকে গত ১০ ফেব্রুয়ারি কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় জেলা প্রশাসন। অন্যদিকে কয়েক বছর ধরে চাঁদপুরের নদী অঞ্চল থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ রয়েছে ওই চেয়ারম্যানসহ একটি চক্রের বিরুদ্ধে। এমনকি অনুমতি ছাড়াই তিনি বছরের পর বছর বালু বিক্রি করেছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। সবশেষ গত ৬ এপ্রিল সেলিম খানের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ যাচাইয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুমিল্লার সহকারী পরিচালক রাফী মো. নাজমুস সা’দাতের নেতৃত্বে দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির প্রাথমিক সত্যতা পায় দুদক টিম। |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ অঞ্জন কর
প্রকাশকঃ জেরীফ আফতাব কর্তৃক
জেড টাওয়ার (৬ষ্ট তলা), বাড়ী- ০৪, রোড-১৩২, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২ থেকে প্রকাশিত
ইমেইলঃ tribunenewsbd@gmail.com
© 2022 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || tribunenewsbd.com