সীমান্তে ফের গোলাবর্ষণ, আতঙ্কে এলাকাবাসী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ:
১০
অক্টোবর
২০২২ ,
সোমবার
০২ : ১০ পিএম প্রদর্শিত হয়েছে ৮১৫০ বার
|
টানা ১০দিন বন্ধ থাকার পর ফের বাংলাদেশ-মিয়ানমারের ঘুমধুম-উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্তের কাছাকাছি গোলাবর্ষণ ও মর্টারশেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। হেলিকপ্টার থেকে নিক্ষেপিত গোলার বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে সীমান্তের এপারও। ফলে আবারও আতঙ্কে আছে সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ। সোমবার (১০ অক্টোবর) রাত ৩টা থেকে নাইক্ষংছড়ির ঘুমধুম ও উখিয়ার পালংখালি এলাকার সীমান্তে গোলাবর্ষণ শুরু হয়। একই সময়ে টেকনাফের হোয়াইক্যং ও হ্নীলা ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকায়ও হেলিকপ্টার থেকে গোলাবর্ষণের ঘটনা সকাল ৬টা পর্যন্ত চলেছে বলে জানিয়েছেন সীমান্তে থাকা বাসিন্দারা। এদিকে, সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে সীমান্তের রেজুপাড়া বিওপি এলাকা পরিদর্শনে আসছেন বিজিবি মহাপরিচালক। এরই মাঝে মিয়ানমার সীমান্তের অভ্যন্তরে ফের গোলাবর্ষণ শুরু হওয়ায় এপারে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তবে, এ নিয়ে কোন মন্তব্য নেই সীমান্তরক্ষী বিজিবির। সীমান্তবর্তী বাসিন্দারা বলছেন, মিয়ানমারের ওপারে হোয়াইক্যং সীমান্তের কাছাকাছি হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া ভারি গোলা ও মর্টারশেলের শব্দে ঘুম ভাঙ্গে। ঘুম থেকে ওঠে দেখি প্রচণ্ড শব্দ আর হেলিকপ্টার থেকে ভারি গোলা ফেলার দৃশ্য। ভয় ও আতঙ্কে চিংড়ী ঘেরে মাছ শিকারে যেতে পারিনি। সীমান্ত এলাকার এ অংশে আজই এমন ঘটনা দেখলাম। গোলায় ওপারে ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যাচ্ছে। হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী বলেন, মিয়ানমারের ওপারে সীমান্তের কাছে নতুন করে থেমে থেমে গোলাবর্ষণের ঘটনায় হোয়াইক্যং ইউনিয়নের এপারের সীমান্তবাসীর মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তবে ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদে সর্তক থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এসব বিষয়ে জানতে পূর্বের মতো নাইক্যংছড়ির ঘুমধুম ও উখিয়া সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ককে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি। ফলে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট সেনারা অভিযানের নামে বর্বরতা শুরু করলে প্রাণ বাঁচাতে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে রোহিঙ্গা ঢল বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। ওই সময় ৭-৮ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। আগে থেকে বাংলাদেশে ছিল আরও ৩-৪ লাখ রোহিঙ্গা। সব মিলিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে ১২ লাখের বেশি। গত পাঁচ বছরে সোয়া লাখের বেশি শিশুর জন্ম হয়েছে উখিয়া-টেকনাফের ক্যাম্পগুলোতে। ফলে তাদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আর গত দু'মাস ধরে সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সে দেশের বিদ্রোহী আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সাথে সংঘাত চলছে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর সর্বশেষ গোলাগুলির পর সোমবার আবারও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ অঞ্জন কর
প্রকাশকঃ জেরীফ আফতাব কর্তৃক
জেড টাওয়ার (৬ষ্ট তলা), বাড়ী- ০৪, রোড-১৩২, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২ থেকে প্রকাশিত
ইমেইলঃ tribunenewsbd@gmail.com
© 2022 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || tribunenewsbd.com