বিভিন্ন সময় আলোচিত এবং সমালোচিত ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান ১৩ বছরে মোট বেতন, উৎসাহ ভাতা, আনুষঙ্গিক সুবিধা হিসেবে যত টাকা নিয়েছেন তার হিসাব দাখিলে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে ওয়াসা কর্তৃপক্ষের আবেদনের শুনানি করে চেম্বার জজ বোরহান উদ্দিন মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) এ আদেশ দেন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। 

২০০৯ সাল থেকে ঢাকা ওয়াসার এমডি পদে রয়েছেন তাকসিম এ খান। প্রথম নিয়োগের পর থেকে মোট ছয়বার তার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। 

গত ১৭ আগস্ট ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান ১৩ বছরে মোট বেতন, উৎসাহ ভাতা, আনুষঙ্গিক সুবিধা হিসেবে যত টাকা নিয়েছেন তার হিসাব তলব করেন বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ। ৬০ দিনের মধ্যে ঢাকা ওয়াসা বোর্ডকে এ হিসাব আদালতে দাখিল করতে বলা হয়। কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) এক রিট আবেদনের শুনানি করে এ নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আদালত তাকসিম এ খানকে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে অপসারণের বিষয়ে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। এছাড়া তাকে অপসারণে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়া যতদিন পর্যন্ত তাকে অপসারণ করা না হবে ততদিন ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী তার বেতন নির্ধারণে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতেও রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। স্থানীয় সরকার সচিব, ঢাকা ওয়াসা বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদেরকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। 

আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, গত ১৩ বছর ওয়াসা বোর্ড বিভিন্ন রেজুলেশনের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনা পরিচালককে কী পরিমাণ বেতন-ভাতা এবং টিএ-ডিএসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে তার হিসাব আগামী ৬০ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে বিভাগে দাখিলের জন্য আবেদন করেছিলাম। আদালত তা অনুমোদন করেছেন। চেম্বার জজ আদালতও সেই আদেশ বহাল রেখেছেন।