রোববার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩
● পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল উদ্বোধন      ● সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর বঙ্গবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে      ● বঙ্গবাজারের আগুন নেভাতে হাতিরঝিল থেকে পানি নিচ্ছে হেলিকপ্টার      ● বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের খোঁজখবর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী      ● বঙ্গবাজারে ফায়ার সার্ভিসের ৫০ ইউনিট, ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন      ● ৫ ঘণ্টায়ও নেভেনি বঙ্গবাজারের আগুন      ● ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরে হামলা, টিয়ারশেল নিক্ষেপ      ● আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের সাথে নৌ-সেনা ও বিমানবাহিনী      ● বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ড: আশপাশের ৪ ভবনে ছড়িয়েছে আগুন      ● জ্বলছে বঙ্গবাজার : প্রতিনিয়ত বাড়ছে আগুনের তীব্রতা     
কোনো বাধাই সরকার পতন আন্দোলন ঠেকাতে পারবে না: মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২২ , শনিবার ০৭ : ১০ পিএম   প্রদর্শিত হয়েছে ৭৯৯৩ বার

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কোনো বাধাই সরকার পতন আন্দোলন ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। রাজপথের লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেবে তরুণরা। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের চিহ্ন থাকবে না।


শনিবার (২২ অক্টোবর) খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে একথা বলেন তিনি।


মির্জা ফখরুল বলেন, শেখ হাসিনার সরকার অবৈধ ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে দেশকে নরকে পরিণত করেছে। এই অবৈধ সরকার আমাদের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। আমাদের রাষ্ট্রীয় সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। আমাদের সকল অর্জনকে ধ্বংস করেছে। শুধুমাত্র একটি কারণে, তাদের অবৈধ ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে। তারা জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়, তারা বিনাভোটে, জনগণকে বঞ্চিত করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়।


তিনি বলেন, এই সরকার সংবিধান লঙ্ঘন করেছে, মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, আমাদের সমস্ত বিচার বিভাগকে দলীয়করণ করেছে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আওয়ামী লীগের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। সাধারণ মানুষ কোনো স্বাস্থ্যসেবা পায় না। 


মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার আমাদের অনেক ক্ষতি করেছে। আমাদের ৬০০ নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। হাজারো নেতা-কর্মীকে খুন করেছে। অসংখ্যা নেতা-কর্মীকে আহত করেছে। ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। সাতক্ষীরার হাবিবকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। ৪৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এরা মানুষ! এরা গণতন্ত্র চায়! তারা শুধু মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে। তারা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য মানুষকে ভুল বোঝায়। 


বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের সামনে আর কোনো বিকল্প নেই। একটাই বাধ্যতামূলক বিকল্প, আন্দোলন, আন্দালন, আন্দোলন। আন্দোলনের মাধ্যমেই এই ভয়াবহ ফ্যাসিবাদী একনায়ক শেখ হাসিনার সরকারকে পরাজিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।  


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনি অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। কারণ আপনারা বৈধ নন, আপনারা জনগণের ভোটে আসেননি। সংসদ বিলুপ্ত করুন। সংসদ বিলুপ্ত করে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিন। কারণ এই দেশে আপনাদের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না। সে কারণেই নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া অন্য কোনো ব্যবস্থা জনগণ মেনে নেবে না। 


এর আগে দুপুর ২টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সোয়া ১২টায় কোরআন তিলাওয়াত ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশের শুরুতে বিভাগের বিভিন্ন জেলার শীর্ষ নেতারা বক্তব্য দেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শফিকুল আলম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।


নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার মানতে চান না কেন? এমন প্রশ্ন করে মির্জা ফখরুল বলেন, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আপনাদের চিহ্ন থাকবে না, ১০টি আসনও পাবেন না। অথচ এরাই এক সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করেছিল। ১৭৩ দিন হরতাল করেছিল। দেশের স্বার্থে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তাদের দাবি মেনে নিয়ে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু করেছিলেন। ক্ষমতায় আসার পর তারা বিচারপতি খায়রুল হককে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চালু করেছে। 


এদিকে বিভাগীয় সমাবেশ কেন্দ্র করে সকাল থেকেই সভাস্থলে আসতে থাকেন দলীয় নেতাকর্মীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংক চত্বরের প্রধান সড়কে বাড়তে থাকে কর্মী সমাগম। শুক্রবার রাত থেকেই শহরের আশপাশের ১০ জেলার নেতাকর্মীরা খুলনায় আসতে থাকেন। সভাস্থল থেকে শিববাড়ি মোড় পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে লাগানো হয় মাইক, ব্যানার আর প্রজেক্টর।


নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিভিন্ন পয়েন্টে বসানো হয় সিসি ক্যামেরা। মোতায়েন রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য।


কর্মসূচিতে আসা কর্মীরা অভিযোগ করেন, পথে পথে পুলিশ, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ কর্মীরা তাদের বাধা দিয়েছে। কোথাও কোথাও ভয়ভীতি দেখিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তবুও সব বাধা পেরিয়ে সমাবেশে আসছে মানুষ।


বেগম খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি আর নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবির পাশাপাশি নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদও জানান নেতাকর্মীরা।


বর্তমান সরকারের পদত্যাগ দাবি করে বিএনপি নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবেন তারা।


খুলনার পর বরিশাল, সিলেট ও রাজশাহীসহ আরও ৭টি সাংগঠনিক বিভাগে সমাবেশ করার কথা রয়েছে দলটির।

« পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ »





  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ অঞ্জন কর

প্রকাশকঃ জেরীফ আফতাব কর্তৃক

জেড টাওয়ার (৬ষ্ট তলা), বাড়ী- ০৪, রোড-১৩২, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২ থেকে প্রকাশিত

ইমেইলঃ tribunenewsbd@gmail.com

© 2022 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || tribunenewsbd.com