জজ মিয়াকে ক্ষতিপূরণ দিতে রুল জারি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ:
২৫
অক্টোবর
২০২২ ,
মঙ্গলবার
১২ : ১০ পিএম প্রদর্শিত হয়েছে ৭৯৯২ বার
|
চাঞ্চল্যকর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে চার বছর কারাভোগ করা মো. জালাল ওরফে জজ মিয়াকে কেন পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জজ মিয়ার আটক আদেশ ও কারাভোগ কেন বেআইনী ঘোষণা করা হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। জজ মিয়ার করা রিটের শুনানি করে বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) এই রুল জারি করেন। স্বরাষ্ট্র সচিব,আইজিপি, ঢাকার ডিসি এবং মতিঝিল ও সেনবাগ থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্ট ১১ বিবাদীকে আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা মামলায় ষড়যন্ত্র করে জজ মিয়াকে জন্য ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে চলতি বছরের ১১ সেপ্টেম্বর রিট দায়ের করা হয়। রিটে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় জড়িতকারীদের খুঁজে বের করতে আপিল বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র সচিব, ঢাকার জেলা প্রশাসক, মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), নোয়াখালীর সেনবাগ থানার ওসি, পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), তৎকালীন আইজিপি খোদা বক্স চৌধুরী, তৎকালীন এএসপি আব্দুর রশিদ, তৎকালীন এএসপি মুনশি আতিকুর রহমান এবং তৎকালীন বিশেষ পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমিনকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে। রিটে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক আইজিপি খোদাবক্স চৌধুরী, সাবেক এএসপি আব্দুর রশিদ, মুন্সি আতিকুর রহমান, সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিনসহ ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় জড়িতদের সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে তা থেকে এই ক্ষতিপূরণের টাকা আদায় করে দিতে বলা হয়েছে। বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে দলের নেতাকর্মীসহ ২২ জন নিহত হন। এ ঘটনায় ২০০৫ সালের ৯ জুন নোয়াখালীর সেনবাগ থেকে ধরে আনা হয় ‘জজ মিয়া’ নামের ওই যুবককে। তাকে ১৭ দিন রিমান্ডে নেয় সিআইডি। ২০০৫ সালের ২৬ জুন আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে জজ মিয়া বলেছিলেন, পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে বড় ভাইদের নির্দেশে তিনি অন্যদের সঙ্গে গ্রেনেড হামলায় অংশ নেন। ওই বড় ভাইয়েরা হচ্ছেন- শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন, জয়, মোল্লা মাসুদ, মুকুল প্রমুখ। পরে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসে নতুন করে এই মামলার তদন্তের উদ্যোগ নেয়। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ১১ জুন এ-সংক্রান্ত মামলা দুটির অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। জজ মিয়া দাবি করেন, তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে গ্রেনেড হামলায় জড়িত থাকার জবানবন্দি আদায় করা হয়। এরপর অব্যাহতি দেওয়া হয় জোট সরকারের আমলে গ্রেপ্তার হওয়া জজ মিয়াকে। |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ অঞ্জন কর
প্রকাশকঃ জেরীফ আফতাব কর্তৃক
জেড টাওয়ার (৬ষ্ট তলা), বাড়ী- ০৪, রোড-১৩২, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২ থেকে প্রকাশিত
ইমেইলঃ tribunenewsbd@gmail.com
© 2022 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || tribunenewsbd.com