দুদকের মামলায় ডেসটিনির চেয়ারম্যানের অর্থদণ্ডের রায় স্থগিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ:
০৮
নভেম্বর
২০২২ ,
মঙ্গলবার
০১ : ১১ পিএম প্রদর্শিত হয়েছে ৮০৪৩ বার
|
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ‘ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেড’র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনের দেড় কোটি টাকা অর্থদণ্ডের রায় স্থগিত করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। তিনি বলেন, ১০ বছরের সাজা থেকে খালাস চেয়ে ‘ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেড’র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনের করা আপিল আদালত শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন আদালত। পাশাপাশি অর্থদণ্ড স্থগিত করা হয়েছে। এর আগে, রোববার (৬ নভেম্বর) মোহাম্মাদ হোসেনের পক্ষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চে জামিন আবেদন ও আপিলটি দায়ের করেন ব্যারিস্টার সারোয়ার হোসেন। এ সময় তিনি অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় ডেসটিনির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনের ১০ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে আপিল দায়ের করেন। পাশাপাশি জামিন আবেদন ও অর্থদণ্ড স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন। চলতি বছরের ১২ মে অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের এক মামলায় ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এই মামলায় ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীন, কোম্পানির প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান এম হারুন-অর-রশীদসহ ৪৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের পাশাপাশি অর্থদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম। এ সময় রফিকুলকে ১২ বছরের কারাদণ্ড ও ২০০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড, ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং ডেসটিনি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ও সাবেক সেনাপ্রধান এম হারুন-অর-রশীদকে চার বছরের কারাদণ্ড ও ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও অন্য আসামিদের ৫ থেকে ৯ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, দুই মামলায় মোট ৪ হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়। দুই বছর তদন্তের পর ২০১৪ সালের ৪ মে উভয় মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। আর ট্রি প্ল্যান্টেশনের মামলায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। দুই মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ৫৩। রফিকুলসহ ১২ জনের নাম দুটি মামলাতেই রয়েছে। আসামিদের মধ্যে আগে থেকেই কারাগারে আছেন মোহাম্মদ হোসেন ও রফিকুল। |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ অঞ্জন কর
প্রকাশকঃ জেরীফ আফতাব কর্তৃক
জেড টাওয়ার (৬ষ্ট তলা), বাড়ী- ০৪, রোড-১৩২, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২ থেকে প্রকাশিত
ইমেইলঃ tribunenewsbd@gmail.com
© 2022 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || tribunenewsbd.com