শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
● পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল উদ্বোধন      ● সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর বঙ্গবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে      ● বঙ্গবাজারের আগুন নেভাতে হাতিরঝিল থেকে পানি নিচ্ছে হেলিকপ্টার      ● বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের খোঁজখবর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী      ● বঙ্গবাজারে ফায়ার সার্ভিসের ৫০ ইউনিট, ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন      ● ৫ ঘণ্টায়ও নেভেনি বঙ্গবাজারের আগুন      ● ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরে হামলা, টিয়ারশেল নিক্ষেপ      ● আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের সাথে নৌ-সেনা ও বিমানবাহিনী      ● বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ড: আশপাশের ৪ ভবনে ছড়িয়েছে আগুন      ● জ্বলছে বঙ্গবাজার : প্রতিনিয়ত বাড়ছে আগুনের তীব্রতা     
মহিয়সী কবি সুফিয়া কামালের ২৩তম প্রয়াণ দিবস আজ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০২২ , রবিবার ১১ : ১১ এএম   প্রদর্শিত হয়েছে ৮২০২ বার

নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় আজও প্রাসঙ্গিক কবি ও সমাজ সংস্কারক সুফিয়া কামাল। বৃটিশ ও পাকিস্তান আমলে পশ্চাদপদ বাঙালির মানসপটে সচেতনার বীজ বুনেছিলেন এই মহিয়সী। ধর্মীয় গোড়ামি ও কুসংস্কারের যাঁতাকল থেকে বের হয়ে আত্মপরিচয়ের বিকাশ লাভে তিনিই ছিলেন কান্ডারি। এই মহিয়সী কবির ২৩তম প্রয়াণ দিবস আজ ২০ নভেম্বর।


সৈয়দা সুফিয়া বেগম ২০ জুন ১৯১১ খ্রীষ্টাব্দের তৎকালীন পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশের বাকেরগঞ্জ জেলার শায়েস্তাবাদে মামার বাড়ি রাহাত মঞ্জিলে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একটি সম্ভ্রান্ত বাঙ্গালী মোসলমান জমিদার খান্দানের মেয়ে ছিলেন যারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অন্তর্গত​ শিলাউরের সৈয়দ বংশ হিসাবে পরিচিত ছিলেন। তিনি সাত মাস থাকতে, তাঁর বাবা সৈয়দ আব্দুল বারী ওকালতি চাকরী এবং ঘর-বাড়ী ছেড়ে সন্ন্যাসী-সুফী হয়ে যান। তাই সুফিয়া তাঁর মা সৈয়দা সাবেরা বেগমের সাথে মামার বাড়িতেই বড় হন। সুফিয়ার নানা খান বাহাদুর নবাব সৈয়দ মীর মোয়াজ্জেম হোসেন ছিলেন একজন জমিদার এবং বিখ্যাত ম্যাজিষ্ট্রেট।


বঙ্গভঙ্গ রদ’র বছরেই বাঙালি নারী মুক্তির ত্রাতা হিসাবে আর্বিভাব ঘটে বেগম রোকেয়ার সুযোগ্য উত্তরসূরী কবি সুফিয়া কামালের। পিতৃহারা সুফিয়া শৈশব থেকেই ছিলেন অধিকার সচেতন। ১৯১৮ সালে কোলকাতায় বেগম রোকেয়ার সান্নিধ্যই তাঁকে লেখক ও সমাজকর্মী হিসাবে আত্মপ্রকাশের পথ দেখায়। এরপর মহাত্মা গান্ধীর সাথে অসহোযোগ আন্দোলন, কবিতা নিয়ে কাজী নজরুলের ভূয়সী প্রশংসা কিংবা রবীন্দ্রনাথের সাহচার্য্য সবই ছিল তাঁর আগামী দিনের পাথেয়। ১৯২৩ সালে প্রথম গল্প বালিকা সৈনিক আর ১৯২৬ সালের প্রথম কবিতা প্রকাশ পায় এই কবির। পরে আপন আলোয় আলোকিত হন বাঙলার ঘরে-ঘরে নারী জাগরণে। পাকিস্তানী দখলদারির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন সুফিয়া কামাল। রবীন্দ্রজন্মশতবর্ষ উদযাপনে তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য। এরপর পাকিস্তানী জান্তার চক্ষুশূল হন তিনি। দেশমাতৃকার জন্য রাজপথে ছিলেন সরব। স্বাধীনতার পরও সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে ছিলেন উচ্চকিত। ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির পাশে থেকেছেন আমরণ। 


সাহিত্যেও তাঁর অবদান ছিল উল্লেখযোগ্য। কবিতা-গল্প-ছোট উপন্যাস ছাড়াও প্রবন্ধ-নিবন্ধে দেশ, নারী ও সমাজের গোড়ামির মূলে করেছেন কুঠারাঘাত।  মহিয়সী এই নারী, কবি ও সংস্কারক কর্মগুণে পেয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ সব সম্মাননা ও পুরস্কার। ১৯৯৯ সালের আজকের দিনে প্রয়াত হন জননী সাহসিকা সুফিয়া কামাল।


তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে উল্লেখ করেন, কবি সুফিয়া কামাল ছিলেন নারী আন্দোলনের পথিকৃৎ এবং সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে এক অকুতোভয় যোদ্ধা। তার জন্ম ১৯১১ সালের ২০ জুন বরিশালে। তখন বাঙালি মুসলমান নারীদের লেখাপড়ার সুযোগ একেবারে সীমিত থাকলেও তিনি নিজ চেষ্টায় লেখাপড়া শেখেন এবং ছোটবেলা থেকেই কবিতাচর্চা শুরু করেন। সুললিত ভাষায় ও ব্যঞ্জনাময় ছন্দে তার কবিতায় ফুটে উঠত সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখ ও সমাজের সার্বিক চিত্র।

« পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ »





  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ অঞ্জন কর

প্রকাশকঃ জেরীফ আফতাব কর্তৃক

জেড টাওয়ার (৬ষ্ট তলা), বাড়ী- ০৪, রোড-১৩২, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২ থেকে প্রকাশিত

ইমেইলঃ tribunenewsbd@gmail.com

© 2022 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || tribunenewsbd.com