মহানগর দায়রা জজ আদালতে কালই হতে পারে শুনানি
মির্জা ফখরুল ও আব্বাসের পুনরায় জামিন আবেদন কাল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ:
১০
ডিসেম্বর
২০২২ ,
শনিবার
০৫ : ১২ পিএম প্রদর্শিত হয়েছে ৭৯৮১ বার
|
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের পুনরায় জামিনের জন্য আবেদন করছেন তাদের আইনজীবীরা। শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্টেট আদালতে করা জামিন আবেদন খারিজ হওয়ায় এবার ঢাকা মহানরগ দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করা হবে বলে জানান তাদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার। তিনি শনিবার (১০ ডিসেম্বর) জানান, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও বিএনপি চেয়ারপাসনের বিশেষ সহকারী শিমুলসহ যেসব নেতাকর্মী বর্তমানে কারাগারে আছেন তাদের পুনরায় জামিন আবেদন আগামীকাল রোববারই ঢাকা মহানরগ দায়রা জজ আদালতে করা হবে। তিনি জানান, বিশেষ কোনো নির্দেশনা থাকলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্টেট আদালতেও কাল জামিন আবেদন করা হতে পারে। তবে সেটা নিশ্চিত নয়। ঢাকা মহানরগ দায়রা জজ আদালতে এই আবেদন করা হবে এটা নিশ্চিত। কবে নাগাদ জামিন হতে পারে জানতে চাইলে আইনজীবী মাসুদ তালুকদার বলেন, ‘ঢাকা মহানরগ দায়রা জজ আদালতে আগামীকাল রোববার আবেদন করলে এদিনই শুনানি করে আদালত জামিন দিতে পারেন। অন্যথায় নথি তলবসহ শুনানির জন্য নতুন কোনো দিন ধার্য করতে পারেন। যেদিন ধার্য করবেন সেদিন শুনানি করে জামিন দিতে পারেন। কবে বিশেষ পরিস্থিতিতে যদি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্টেট আদালতে কাল জামিন আবেদন করা হয় তাহলে কালই জামিন হতে পারে।’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় গতকাল শুক্রবার কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এদিন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালত উভয় পক্ষের আইনজীবীদের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট মাসুদ আহম্মেদ তালুকদারসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী তাদের জামিনের আবেদন করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ দিন বিকেলে তাদের আদালতে হাজির করেছিলো পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন ডিবির পুলিশ পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম। গত বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আহত হন অনেকে। পরে বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালানো হলে সেখানে অনেক ককটেল পাওয়ার কথা জানায় পুলিশ। এ ঘটনায় পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয় অজ্ঞাত দেড় থেকে দুই হাজার বিএনপির নেতাকর্মীকে। অন্যদিকে, পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন মডেল থানার মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও বিএনপি চেয়ারপাসনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাসসহ ৪৩৯ জন নেতাকর্মীর জামিন আবেদন নাকচ করে বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) তাদের কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল। আসামিরা সবাই বর্তমানে কারাগারে আছেন। এর আগে রাজধানীর পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে এই মামলাটি করেন। |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ অঞ্জন কর
প্রকাশকঃ জেরীফ আফতাব কর্তৃক
জেড টাওয়ার (৬ষ্ট তলা), বাড়ী- ০৪, রোড-১৩২, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২ থেকে প্রকাশিত
ইমেইলঃ tribunenewsbd@gmail.com
© 2022 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || tribunenewsbd.com