সয়াবিন তেল শরীরের জন্য ক্ষতিকর: বাণিজ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ:
১৮
মে
২০২২ ,
বুধবার
০৩ : ০৫ পিএম প্রদর্শিত হয়েছে ৫৪৩ বার
|
আন্তর্জাতিক বাজার থেকে সয়াবিন তেলের নির্ভরশীলতা কমাতে দেশীয় যোগানের রাইস ব্রান ও সরিষার তেলের উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, ‘দেশে এখন রাইস ব্র্যান ৫০ থেকে ৬০ হাজার টন উৎপাদন হয়। এটিকে সাত লাখ টনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। সেটি করতে পারলে মোট চাহিদার ২৫ শতাংশ পূরণ করা সম্ভব হবে। তা ছাড়া সয়াবিনের চেয়ে রাইস ব্র্যান ভালো। সয়াবিন তেল শরীরের জন্য ক্ষতিকর।’ আজ বুধবার (১৮ মে) দুপুরে দ্রব্যমূল্য ও বাজার মনিটরিং সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটির দ্বিতীয় সভার বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মন্ত্রী এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় মন্ত্রী সয়াবিন তেল, গম ও লবণ নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা ও বাজার পরিস্থিতি তুলে ধরেন। বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে যে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে, তা আশপাশের দেশের তুলনায় কম।’ আশপাশের দেশের সঙ্গে বাংলাদেশে ভোজ্যতেলের দামের তুলনা করতে সাংবাদিকদের অনুরোধ জানান তিনি। আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেলের দাম বাড়ার কারণে অভ্যন্তরীণ বাজারে সংকট তৈরি হয়েছে। এই সংকট সরকার এবং ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের মিলেমিশে সমাধান করতে হবে বলে মনে করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। টিপ মুনশি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির ফলে দেশের বাজারে সয়াবিনের দাম বেড়েছে। এখন আলোচনায় এসেছে এর বিকল্প কি করা যেতে পারে। রাইস ব্র্যান অয়েল নিয়ে ভাবছি। এক পর্যালোচনায় দেখা গেছে ধানের কুড়া পাওয়া যায় তা থেকে সাত লাখ টন তেল উৎপাদন সম্ভব। বর্তমানে ৬০ হাজার টন রাইস ব্র্যান অয়েল উৎপাদন হয় যার কিছু অংশ দেশে বিক্রি হয়, কিছু রফতানি হয়। এখন অভ্যন্তরীণ বাজারের জন্য উৎপাদন বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপার।’ বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘খবর রটেছে যে, ভারত গম রফতানি বন্ধ করেছে। কিন্তু আমি হাইকমিশনের সঙ্গে আলাপ করে জেনেছি- বাংলাদেশের জন্য রফতানি বন্ধ হয়নি। জিটুজি ভিত্তিতে আমদানি চালু রয়েছে। পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়ে বাংলাদেশি কোনো ব্যবসায়ী আমদানি করতে চাইলে সেই সুযোগ করে দেওয়া হবে। এছাড়া দেশে গমের বর্তমান যে মজুদ রয়েছে তা দিয়ে সহসা কোনো সংকট হওয়ার কথা নয়।’ পেঁয়াজের উৎপাদন খরচ কেজি প্রতি ২০ থেকে ২২ টাকা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এর বাইরে বড় পরিমাণের পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যায়। এখন আমাদের ভাবনার বিষয় হচ্ছে আমরা কত দামে পেঁয়াজ খাব। কৃষকদের ও কিছু প্রণোদনা দিতে হবে তাহলে তারা উৎপাদন বাড়াবে। গতবছর কৃষক পেঁয়াজের ভাল দাম পেয়ে এবার আড়াই লাখ টন উৎপাদন বাড়িয়েছে। পেঁয়াজের বাজার পরিস্থিতি নিয়ে আমরা সতর্ক আছি। এখন আমদানি অনুমোদন বন্ধ করা আছে। প্রয়োজন হলে সেটা চালু করে দেয়া হবে।’ এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এসএইএম সফিকুজ্জামান, টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রি. জে. আরিফুল ইসলাম ও বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ও মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা। |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ অঞ্জন কর
প্রকাশকঃ জেরীফ আফতাব কর্তৃক
জেড টাওয়ার (৬ষ্ট তলা), বাড়ী- ০৪, রোড-১৩২, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২ থেকে প্রকাশিত
ইমেইলঃ tribunenewsbd@gmail.com
© 2022 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || tribunenewsbd.com